দলীয় নির্দেশ অমান্য করেই বিজেপির সমর্থনে পঞ্চায়েত প্রধান হলেন শেখ সুফিয়ানের জামাই শেখ হাবিবুল রহমান। যার জেরে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের অন্দরেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রসঙ্গিত বিজেপির দলীয় লেটারহেডে একটি চিঠিও ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে স্পষ্টভাবে বিজেপির পক্ষ থেকে হাবিবুলকে ভোট দেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও এই চিঠির সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার।
ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রাম ১-র মহম্মদপুর পঞ্চায়েতে। সেখানে তৃণমূলের আসন সংখ্যা ১২। বিজেপি জেতে ৬টি তে। ফলে বোর্ড গঠন যে তৃণমূলই করবে তা সকলেই জানতো। কিন্তু প্রধান কে হবে তা ঠিক ছিল না। বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য শেখ শাহানওয়াজের নাম ঘোষণা করেন। কিন্তু দলেরই অন্য এক সদস্য হাবিবুলের নাম প্রস্তাব করে। ভোটাভুটিতে বিজেপির সমর্থন নিয়ে মোট ১২টি ভোট পান সুফিয়ানের জামাই। ফলে দলেরই প্রার্থীকে হারিয়ে তিনি প্রধান হন।
এই শেখ সুফিয়ান ২১-র বিধানসভা নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জির নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট নিয়ে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বার বার প্রকাশ্যে এসেছে। শেখ সুফিয়ানকে প্রার্থী করা নিয়েও দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় নেতৃত্ব। এমনকি শুভেন্দু অধিকারীর সাথে সুফিয়ানের ঘনিষ্ঠতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন দলেরই একাংশ।
স্থানীয় এক নেতা বলেন, সুফিয়ানের জামাই পঞ্চায়েতে টিকিট নেওয়ার জন্য তৃণমূলের কার্যালয়েই লোকজন নিয়ে হামলা চালিয়েছিল। সুফিয়ানের প্রভাব খাটিয়েই তিনি এই সব কাজ করেছিলেন। বোর্ড গঠনের দিনও প্রভাব খাটিয়েই প্রধানের পদ দখল করেছেন। বিষয়টি শীর্ষ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।
বিজেপির অবশ্য দাবি, দলের তরফ থেকে নির্দেশ ছিল তাই সমর্থন করেছে। দলীয় নেতৃত্ব নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রস্তাবিত নামের বিরোধিতা করে যে প্রার্থী দাঁড়াবে তাঁকেই সমর্থন করতে। তাহলে কি তৃণমূল-বিজেপি 'আঁতাত'-র ফলেই সুফিয়ানের জামাই পঞ্চায়েত প্রধান হলেন? জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন