মনোনয়নের শেষ দিনে রক্তাক্ত চোপড়া, একাধিক বাম-কংগ্রেস কর্মী গুলিবিদ্ধ! অভিযোগ তৃণমূলের দিকে
মনোনয়নের শেষ দিনেও ঝরলো রক্ত। উত্তরদিনাজপুরে বাম-কংগ্রেসের মিছিলে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি আহত হয়েছেন একাধিক বাম ও কংগ্রেস প্রার্থীরা।
বৃহস্পতিবার মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন চোপড়ার বাম ও কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। মিছিল চলাকালীন আচমকাই গুলি চলে। মিছিলে অংশগ্রহণকারী একজন বলেন, চোপড়া থানার লাল বাজার এবং দাস পাড়া থেকে আমরা (বাম ও কংগ্রেস সমর্থকরা) চোপড়া ব্লকে মনোনয়ন দিতে যাচ্ছিলাম। প্রায় প্রতিটি মোড়ে বাধা দেয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।
বাম কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, স্থানীয় বিধায়কের বাড়ির কাছেই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। পাঁচ জনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে তিন জন গুরুতর আহত হন। এই তিন জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে। যদিও এই খবরের কোনো নিশ্চয়তা এখনও পাওয়া যায়নি। আশেপাশে কোনো গাড়ি না থাকায় কাঁধে করেই আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পুলিশের ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ বাম কর্মী সমর্থকরা।
আহত এক সিপিআইএম কর্মী জানান, তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই বলা হয়েছিল মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে না। এর আগেও অনেকবার ভয় দেখিয়েছিল। কিন্তু আমরা সমস্ত বাধা উপেক্ষা করেই মনোনয়ন জমা দিতে আসছিলাম। কিন্তু তৃণমূল ইচ্ছাকৃতভাবে গুলি চালিয়েছে।
শুধু চোপড়াই নয়, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়েও আক্রান্ত হয়েছেন বাম প্রার্থীরা। সকলের একই অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা মনোনয়ন জমা দিতে বাধা সৃষ্টি করছে। পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। গত দু'দিন উত্তপ্ত ছিল ভাঙড়। আজও সেই চিত্রই ধরা পড়েছে। মোটা মোটা লাঠি নিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শাসকদলের কর্মী সমর্থকরা। আইএসএফ সমর্থকদেরও লাঠি হাতে ঘুরতে দেখা যায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন