সামনেই পুরভোট, আর তার আগেই কার্যত গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত হাওড়ার বিজেপি ইউনিট। সামাল দিতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে। ঘটনার সূত্রপাত শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য। তিনি কয়েকদিন আগে অভিযোগ করেছিলেন – হাওড়া বিজেপির নেতৃত্ব তৃণমূলের অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে সমঝোতা করে চলছেন।
হাওড়া সদরের বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহা কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন – “৬ মাস আগে বিজেপিতে আসা নেতার থেকে বিজেপি করা শিখব না। ২৬ বছর বিজেপি করছি”। শুধু তাই নয় নারদ কান্ডকেও সামনে এনে রীতিমতো “চোর” বলেও শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেছেন তিনি। হাওড়া বিজেপির অন্দরে কার্যত শুভেন্দু বিরোধী হাওয়া বইছে। রাগে ফুঁসছে জেলা নেতৃত্বের একাংশ।
তিনি আরও বলেন – “প্রমাণ করুন অরূপ রায়ের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। তা না হলে শুভেন্দু অধিকারী নিজে প্রমাণ করুন, উনি টাকা নেননি”। তিনি আরও বলেন – “নারদার টাকা নিতে শুভেন্দুকে দেখা গিয়েছিল, বিজেপির কাউকে টাকা নিতে দেখা যায়নি”।
পাশাপাশি বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ করে বলেন, “আমরা বিজেপি-তেই থাকব। কিন্তু যারা তৃণমূল ছেড়ে এসেছেন সকলেই চলে গেছেন, শুভেন্দু অধিকারীও তৃণমূলে যাবেন, আমার কথা মিলিয়ে নেবেন”। তাঁর আরও অভিযোগ, “বিজেপিতে এসে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের বি-টিম তৈরি করছেন। তাই হাওড়ায় দলের কোনও কর্মকর্তা কাজ করবেন না”।
বিজেপি নেতার এমন মন্তব্যের পরেই নড়েচড়ে বসেছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। তাঁর এই মন্তব্যকে সমর্থন করে না দল, বলে জানিয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর এই মন্তব্যকে সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপ বলেও উল্লেখ করেছেন। ইতিমধ্যেই বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁকে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে শুভেন্দুকে নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “কিছুদিনের মধ্যে বিরোধী দলনেতার লালবাতি নিভতে চলেছে। তিনিও তৃণমূলে ভিড়তে পারেন।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন