মঙ্গলবার সন্দেশখালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন সিপিআইএমের পলিটব্যুরো নেত্রী বৃন্দা কারাত। তাঁকে ধামাখালিতে আটকায় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে সিপিআইএম কর্মীদের বচসা শুরু হয়ে যায়। বৃন্দা জানান, মাত্র চার জনকে নিয়ে তিনি সন্দেশখালি যেতে চান। কিন্তু পুলিশের তরফে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
বৃন্দা বলেন, ‘‘সন্দেশখালিতে আমাদের ঢুকতে দেওয়া হল না। পুলিশের যদি এত ক্ষমতা থাকে, তা হলে কেন শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না? শাহজাহান গ্রেফতার হলে, অনেক সত্যি সামনে আসবে। ওই জন্য ওকে ধরা হচ্ছে না। মেয়েদের অবস্থা শোচনীয়। আমি কল্পনা করতে পারছি না।"
পাশাপাশি জাতীয় মহিলা কমিশনের ভূমিকাকেও নিশানা করেছেন বৃন্দা। তিনি বলেন - "জাতীয় মহিলা কমিশন ও এসসি কমিশন উত্তরপ্রদেশ, মণিপুর যাচ্ছে না। অথচ বাংলায় তারা রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করছে। রাষ্ট্রপতি শাসন মানে বিজেপি শাসন। আমরা এর বিরোধিতা করছি। বিকল্প সরকার চায় মানুষ। অগণতান্ত্রিক শাসন বা রাষ্ট্রপতি শাসনের বকলমে বিজেপির শাসন চায় না মানুষ।"
অন্যদিকে, সোমবারই রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে শর্তসাপেক্ষে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপত কৌশিক চন্দ। সেই নির্দেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে পাঁচ বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা দেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তাঁকে ফের ধামাখালিতে আটকে দেওয়া হয়।
শুভেন্দুর অভিযোগ, আদালতের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও তাঁকে আটকানো হয়েছে। এর ফলে আদালত আবমাননা করা হয়েছে। শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি এক ঘন্টা তিনি অপেক্ষা করবেন, তারপর ফের আদালতে যাবেন শুভেন্দু অধিকারী। এর কিছুক্ষণ পরেই শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে তাঁদের সঙ্গে কোনও সমর্থক বা দলীয় কর্মী যেতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারার উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছিলেন। পরবর্তী রায় পর্যন্ত এই নির্দেশ বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছিল আদালতের পক্ষ থেকে। তারপর ফের মঙ্গলবার সকালে সন্দেশখালির ধামাখালি ঘাটসন্দেশখালি ঘাট, ভোলাখালি ঘাট, খুলনা ঘাট, জেলেখালি ঘাট— সহ মোট ১২ জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন