"শুভেন্দু মারলে বাঁচবে না কেউ। সেটা আমরা চোখে দেখেছি নন্দীগ্রামে।" রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা সাংসদ শিশির অধিকারীর মন্তব্যে কড়া সমালোচনা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোট নিয়ে ব্যঙ্গ করে এবার সমালোচনার মুখে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। তাঁর দাবি, বিধানসভা নির্বাচনের আগে সত্যিই শুভেন্দু মারলে, মমতা আর বাঁচতেন না। আর শিশির অধিকারীর এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল।
রবিবার কাঁথির বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর হয়ে রামনগর ২ ব্লকে নির্বাচনী প্রচার সভায় যোগ দেন শিশির অধিকারী। সেই সভায় দাঁড়িয়ে ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর আহত হওয়া প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে শিশির অধিকারী বলেন, “ভোট এলেই অঙ্গে আঘাত হয়। বিধানসভা ভোটে আগে বললেন নন্দীগ্রামের বিরুলিয়াতে পায়ে মেরে দিল শুভেন্দু। শুভেন্দু মারলে বাঁচবে না কেউ। সেটা আমরা চোখে দেখেছি নন্দীগ্রামে।”
অবশ্য বাবারও আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোট নিয়ে কটাক্ষ করেছেন ছেলে শুভেন্দু অধিকারীও। তা নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নন্দীগ্রামে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে ফেরার পথে পায়ে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পিছনে বিরোধীদের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর চোট প্রসঙ্গে শিশির অধিকারীর এহেন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল। এই মন্তব্যের জন্য নির্বাচন কমিশনারকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে। দলীয় এক্স হ্যান্ডেলে শিশির অধিকারীর ওই মন্তব্যের একটি ভিডিও পোষ্ট করে তৃণমূল লেখে, “যেমন বাবা, তেমন ছেলে।“
এরপরেই লেখা হয়, “অধঃপতনে নেমে গেছেন সাংসদ শিশির অধিকারী। তিনি গর্বের সাথে জানাচ্ছেন, শুভেন্দু ও তাঁর সঙ্গীরা যদি সত্যিই বিরুলিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করত, তাহলে তিনি বাঁচতে পারতেন না।“ এরপরেই নির্বাচন কমিশনারের কাছে এই ধরনের আচরণের নিন্দা করার জন্য দ্রুত এবং নির্ণায়ক পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার একডালিয়া থেকে অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফেরার পরেই ঘরে পড়ে গিয়ে আহত হন মুখ্যমন্ত্রী। তড়িঘড়ি তাঁকে এসএসকেএমে নিয়ে আসা হয়। কপালে চোট পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বর্তমানে মাথায় ব্যান্ডেজ থাকলেও সুস্থ আছেন মুখ্যমন্ত্রী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন