সোমবারের পর মঙ্গলবারও মুখ্যমন্ত্রীর সামনে বিক্ষোভ দেখালেন SLST চাকরি প্রার্থীরা। সোমবার শান্ত মেজাজে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও মঙ্গলবার মেজাজ হারাতে দেখা যায় তাঁকে। সিপিআইএম তাঁদের পাঠিয়েছে বলে সরাসরি অভিযোগ করেন তিনি।
আজ আসানসোলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক দলীয় কর্মীসভা ছিল। সভা চলাকালীন সভার মাঝামাঝি থাকা কয়েকজন মহিলা পোস্টার উঁচিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শুরু করেন। পোষ্টারে লেখা ছিল - দিদি কিছু বলতে চাই। জানা গেছে বিক্ষোভকারীরা SLST চাকরি প্রার্থী। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাঁদের বসতে বলেন। এরপরই সরাসরি অভিযোগ করেন, তাঁদের বিজেপি এবং সিপিআইএম এখানে পাঠিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণে হতবাক চাকরি প্রার্থীরা। এরপরই পুলিশ তাঁদের ঘটনাস্থল থেকে সরানোর চেষ্টা করেন। তাঁরা বারবার বলতে থাকেন তাঁরা কেবল নিজেদের দাবি জানাতে এসেছেন। তাঁদের কেউ পাঠায়নি। বারবার মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ায় বাধ্য তাঁরা এভাবে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এবারও তাঁদের কোনও কথা শোনেননি। পুলিশ ওই প্রতিবাদকারীদের সভাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়।
এরপর সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গতকালই কথা হয়েছে। এটা আদালতের বিষয়। আমার পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়। এই চাকরিপ্রার্থীদেরই কেউ কেউ আদালতে মামলা করে রেখেছে। তাই নিয়োগ পর্ব নিয়ে এত জটিলতা।
তিনি আরও বলেন, ১৭ হাজার চাকরি রেডি করে রেখেছি। আপনারা আদালতের অনুমতি আনুন। চাকরি রেডি আছে।
সভামঞ্চ থেকে মামলাকারীদের আইনজীবী তথা সিপিআইএম সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকেও আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "চাকরি প্রার্থীদের প্রতি আমার সহমর্মিতা আছে। বিকাশ রাজনীতি করবেন, পালিয়ে যাবেন। বিজেপি রাজনীতি করবে, পালিয়ে যাবে। কিন্তু আমি ছেলেমেয়েদের চাকরি নিয়ে রাজনীতি করবো না।"
উল্লেখ্য, গতকাল বর্ধমানেও মুখ্যমন্ত্রী সরকারি অনুষ্ঠানে চাকরির দাবি জানিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালীনই কয়েকজন তরুণী জোর গলায় বলেন - 'টেট-এ চাকরি নিয়ে আমরা কিছু বলতে চাই, আমাদের কথা শুনুন মুখ্যমন্ত্রী।' তৎক্ষণাৎ সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা ঘুরে যায় বিক্ষোভকারীদের দিকে। চাপে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলতে বাধ্য হয়েছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন