বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে মিড ডে মিলের খাবার খেয়ে অসুস্থ ২০ জনেরও বেশি পড়ুয়া। অভিভাবকদের অভিযোগ, মিড ডে মিলের ডালে সাপ ছিল। সেটা খেয়েই তাঁদের সন্তানরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি রাজ্য সরকার পড়ুয়া পিছু মিড ডে মিলের বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে ২০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাথে খাদ্য তালিকায় এবার থেকে মুরগির মাংসও যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু বীরভূমের ঘটনায় মিড ডে মিলের গুণমান নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে লাগল। বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের মণ্ডলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিদিনের নিয়মেই পড়ুয়াদের মিড-ডে-মিল দেওয়া হয়। ওই খাবার খাওয়ার পরেই কয়েকজন পড়ুয়া বমি করতে থাকে। জানা যায় ডালে একটি সাপ ছিল।
খবরটি ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই অভিভাবক সহ গ্রামবাসীদের একাংশ বিদ্যালয়ে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বেশ কিছুক্ষণ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ঘিরে রাখেন অভিভাবকরা। গ্রামবাসীদের মধ্যে একজন বলেন, বিদ্যালয়ের রান্না ঘরটি কার্যত পরিষ্কার হয় না বললেই চলে। ফলে পোকামাকড় থাকার সম্ভাবনা বেশি। আর রান্নার সময় কোনও শিক্ষক তদারকি করেন না। রান্না করা খাবার বেশিরভাগ সময়ই ঢেকে রাখা হয় না। গাফিলতির জন্যই চিতি সাপটি গরম ডালে পড়ে সেদ্ধ হয়ে যায় বলে তাঁরা অভিযোগ করছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, দু'জন রান্নার দায়িত্বে ছিলেন। খাবার পরিবেশনের সময় সাপটি নজরে আসে। তবে সকলে খায়নি। কয়েকজন পড়ুয়া ভাত ও ডাল খেয়ে ফেলেছিল। সাথে সাথেই পরিবেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ময়ূরেশ্বরের ২ নং ব্লকের বিডিও দীপাঞ্জন জানা বলেন, যতটা জানা যাচ্ছে তাতে মিড ডে মিলের খাবার খেয়ে পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়নি। হ্যাঁ সমস্যা হয়েছে ঠিকই তবে তা তদন্ত সাপেক্ষ। একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হবে। বিস্তারিত না জেনে কিছু মন্তব্য করা উচিত নয়। ২০-২৫ জন পড়ুয়াকে চিকিৎসার জন্য রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সকলেই এখন সুস্থ আছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন