উত্তর ২৪ পরগণার সোদপুর মোড়ের নাম ‘তিলোত্তমা মোড়’ করার দাবিতে নতুন কর্মসূচী নিয়ে পথে নামল বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই। গত শনিবার অর্থাৎ ১৬ নভেম্বর থেকে এক মাসে এক লক্ষ সই সংগ্রহ কর্মসূচি শুরু করেছে তারা। এসএফআইয়ের এই নয়া অভিযানে প্রথম সই করেছেন নির্যাতিতার বাবা মা।
রবিবার পূর্ণ হয়েছে আর জি কর কাণ্ডের ১০০ দিন। তার আগে শনিবার সোদপুরে নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছান এসএফআইয়ের সদস্যরা। এদিন দীর্ঘক্ষণ নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। কর্মসূচীতে প্রথম সই করেন নির্যাতিতার বাবা ও মা। তারপর নির্যাতিতার স্কুল চন্দ্রচূড় গার্লসের ছাত্রী ও শিক্ষিকা ও অভিভাবকেরা সই করেন। এরপর সোদপুর স্টেশন চত্ত্বরেও সই সংগ্রহ অভিযান চলে।
এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘আগামী ১ মাস ধরে জেলার প্রতিটি প্রান্তে চলবে এই স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচী। মোট ১ লক্ষ সই সংগ্রহ করব আমরা। তারপর এই সব সই নিয়ে ডিসেম্বরে সোদপুর থেকে বারাসাত অবধি হেঁটে বারাসাত ডিএম অফিসে তা জমা করা হবে।‘
অন্যদিকে, রবিবার আর জি কর কাণ্ডের ১০০ দিন পূরণে ফের পথে নামে নাগরিক সমাজ। মশাল, মোমবাতি, জাতীয় পতাকা হাতে হাইল্য়ান্ড পার্ক থেকে গড়িয়া বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিলে করে নাগরিক সমাজের একটি অংশ। এদিকে নির্যাতিতার বিচার চেয়ে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সামনে ১০০ টি মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করেন এসএসকেএমের জুনিয়র ডাক্তাররা। এছাড়া গড়িয়া বাস স্ট্যান্ড মোড়ে ১০০ সেকেন্ড নীরবতা পালনের পাশাপাশি মানব বন্ধনও করেন অনেকে।
এছাড়া, নির্যাতিতার বিচার চেয়ে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের সামনে প্রতীকী অভয়া মূর্তির সামনে ১০০ টি প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রতিবাদের গান গাওয়া হয়। আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজ চত্বরে মোমবাতি মিছিল করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অন্যদিকে, কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজে শনিবার বিকেলে জুনিয়র ডাক্তাররা একত্রিত হয়ে দ্রোহ গ্য়ালারির সামনে ১০০ মোমবাতিতে লেখা হয় - বিচারহীন ১০০ দিন। নীরবতা পালন করা হয় ১০০ সেকেন্ড। ওড়ানো হয় ১০০টি কালো সাদা বেলুন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন