এবার ভোটকর্মীদের দিকেই আঙুল তুলছেন রাজের মন্ত্রী। তাঁর কথায়, কিছু প্রিসাইডিং অফিসার অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে রাজ্যের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য বিরোধী পক্ষের হাতে কিছু অব্যবহৃত ব্যালট তুলে দিতে পারে। এক্ষেত্রে সরাসরি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সাথে যুক্ত ভোটকর্মীদের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি।
নিজের ফেসবুক পোস্টে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী তথা জাঙ্গিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী লেখেন, "প্রিসাইডিং অফিসার যদি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে রাজ্যের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে বিরোধী পক্ষের হাতে কিছু অব্যবহৃত ব্যালট তুলে দেন, এবং বিরোধীরা তা নিয়ে তাতে নিজেদের প্রতীকের ছাপ মেরে যদি তা কোর্টে জমা করেন, তবে তা তাৎক্ষণিকভাবে ধরা খুব মুশকিল।"
তিনি আরও লেখেন, "ঠিক এইরকমভাবেই জাঙ্গিপাড়ার ৮৯ নম্বর বুথসহ রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় সিপিআইএম কোয়ার্ডিনেশন কমিটির প্রিসাইডিং অফিসাররা তাঁদের ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে অব্যবহৃত ব্যালট তাঁদের দলের ক্যাডারদের হস্তান্তর করেছেন, যাতে তারা কাস্তে হাতুড়ির ছাপ মেরে কোর্টে জমা দিয়ে বলেছেন, যে ব্যালটগুলি রাস্তা থেকে কুড়িয়ে পাওয়া গেছে। মানুষের জনমতে হেরে গিয়ে এইভাবেই সিপিআইএম প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আইনকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে।"
উদ্ধার হওয়া ব্যালট পেপার প্রসঙ্গে তিনি অন্য একটি পোস্টে আরও লেখেন, "যদি কাউন্টিং-এর সময় এগুলো ফেলে দেওয়া হতো, তাহলে এই ব্যালট পেপারগুলিতে ভাঁজ করার দাগ থাকত। নির্দিষ্ট ভাঁজ না করে ব্যালট বক্সে ব্যালট পেপার ঢোকানো যায় না। এগুলো unused ব্যালট পেপার। সিপিআইএমের কোর্ডিনেশন কমিটির সাথে যুক্ত কোনো কোনো প্রিসাইডিং অফিসার ( যৌথ মঞ্চের শরিক ) ওই unused ব্যালট পেপারগুলির কিছুটা সিল করার আগে, কাস্তে হাতুড়ির স্ট্যাম্প মেরে সিপিআইএম নেতাদের হাতে তুলে দিয়েছে যাতে কোর্টে জমা দিয়ে বলতে পারে রাস্তা থেকে পেয়েছে। এর সঠিক তদন্ত হলেই চক্রান্ত ধরা পড়বে।"
উল্লেখ্য, জাঙ্গিপাড়ার রাস্তা থেকে সিপিআইএমের প্রতীকে ভোট দেওয়া বহু ব্যালট উদ্ধার করা হয়েছে। এই নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে সিপিআইএম। বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই বিষয়ে জাঙ্গিপাড়ার বিডিওকে তলব করে ভর্ৎসনাও করে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন