অবিলম্বে নিয়োগ, নয়তো স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি-এই দুটোর মধ্যে কোনও একটির অনুমতি দিন। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে এমনই দাবিতে বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনে শামিল হলেন এসএসসি প্রার্থীরা। দীর্ঘ আট বছর ধরে অপেক্ষা করছেন তাঁরা। কিন্তু এখনও নিয়োগ হয়নি। এই অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
এদিনের বিক্ষোভ কিছু টুকরো ছবি ধরা পড়ল। দেখা গিয়েছে, কোনও হবু শিক্ষকের কোলে একরত্তি শিশুকে। কারও হাতে রয়েছে পোস্টার। তাতে লেখা, ‘এবার নিয়োগ দিতেই হবে’, ‘২০১৪ টেট পাশ নট ইনক্লুডদের অবিলম্বে নিয়োগ চাই,’ ‘দিদি আপনি নিয়োগ দিন'। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাঁরা জড়ো হয়েছেন সল্টলেকের আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ভবনের সামনে।
২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট উর্ত্তীর্ণ প্রার্থীদের দাবি, তাঁরা টেট উর্ত্তীর্ণ হয়েছেন, ডিএলএড ডিগ্রিও রয়েছে। তারপরেও এত বছর ধরে তাঁরা বঞ্চিত। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে মুখর প্রার্থীদের বক্তব্য, বারবার সরকারের দ্বারস্থ হয়েও কাজের কাজ কিছু হয়নি। তাই ফের তাঁরা বাধ্য হয়েছেন আন্দোলনে নামতে।
এক চাকরিপ্রার্থীর কথায়, বৃদ্ধা মা একা তাঁত বুনে সংসার চালিয়েছেন। ভাইবোনদের শিক্ষিত করেছেন। তাঁরা সবাই চাকরির পরীক্ষা দিয়ে সসম্মানে পাশও করেছেন। কিন্তু কেউ চাকরি পাননি। তাঁর প্রশ্ন, ‘এত পড়াশোনা করলাম কেন?’ একই অভিযোগ সব চাকরিপ্রার্থীর।
এদিকে সদ্য এসএসসি-র চেয়ারম্যান বদল হয়েছে। প্রাক্তন এসএসসি চেয়ারম্যান প্রাক্তন শুভশঙ্কর সরকার জানান, তাঁর সময়ে এসএসসি নিয়োগে কোনও অনিয়ম হয়নি। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ করতে হবে। অন্যদিকে নতুন চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারও জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ করতে হবে।
বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে এই ধরনের জমায়েত ও আন্দোলন ঠেকাতে পথে নামে পুলিশ। আন্দোলনকারীদের কাছে তাদের আবেদন, দাবিদাওয়া নিয়ে এসএসসি কর্তাদের সঙ্গে দেখা করুন। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, স্মারকলিপি নিয়ে তাঁরা আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ভবনে যাবেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন