দিল্লিতে আন্দোলনরত কৃষকদের সমর্থনে রাজ্য জুড়ে “চাক্কা জ্যাম” কর্মসূচি পালন করল বামেরা। পূর্বঘোষিত এই কর্মসূচিতে তেমন অশান্তির খবরাখবর নেই। তবে নদীয়াতে সিপিআই(এম) কর্মী ও বিজেপি কর্মীদের মুখোমুখি বচসা হতে দেখা গেছে।
এদিন জঙ্গলমহলে “চাক্কা জ্যাম” কর্মসূচি অন্য মাত্রা নিয়েছিল। অনেকেরই বক্তব্য - এসব নাকি সুশান্ত ঘোষ এফেক্ট। কঙ্কাল কান্ডে প্রায় ১০ বছর এলাকা ছাড়া থাকার পর এলাকায় ফিরতেই এককালীন বাম দুর্গে আবার সক্রিয় হতে শুরু করেছে সিপিআই(এম)। একের পর এক দখল হওয়া পার্টি অফিস উদ্ধারের খবর আসছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, সুশান্ত ঘোষ অনুপস্থিতিতে প্রায় নেতৃত্বহীন দিশেহারা বামকর্মীরা নিরাপত্তার কারণে বিজেপির আশ্রয়ে চলে যায়। সুশান্ত ঘোষ এলাকায় ফিরতেই পুরানো কর্মীদের বড়ো অংশ সিপিআই(এম)-এ ফিরে আসছে। সুশান্ত ঘোষ বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে জনসংযোগ সারছেন। যেখানেই যাচ্ছেন ঘিরে ধরছে অনুগামী সমর্থকরা।
ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া সংলগ্ন এলাকার “চাক্কা জ্যাম”-এ এলাকায় ছিল সুশান্ত ঘোষের অদৃশ্য উপস্থিতি। চন্দ্রকোনা রোডে চাক্কা জ্যামের পাশাপাশি বিশাল মিছিলও হয়।
বীরভূমেও একাধিক জায়গায় আবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। বোলপুর বাইপাস রোডে বাম-কংগ্রেসের যৌথ ভাবে কর্মসূচি পালন করে। হুগলির ২ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বাম কৃষক সংগঠনের সঙ্গে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরাও। বহরমপুর-সাঁইথিয়া ১১ নম্বর রাজ্য সড়কে অবরোধ চলে বেশ কিছুক্ষণ। দক্ষিণ ২৪ পরগণার ডায়মন্ডহারবারেও অবরোধ চলে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক। পরে পুলিশ এসে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়।
এদিন কৃষক আন্দোলনের আঁচ পড়ে শিল্পাঞ্চল আসানসোলেও। বার্ণপুর মোড়ে বাম কৃষক সংগঠন ও গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির জিটি রোড অবরোধ করে। মোটের উপর রাজ্য জুড়ে কম বেশি সব জায়গায়তেই চাক্কা জ্যামের প্রভাব পড়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন