রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের ওপর হামলা। বুধবার রাতে নিমতিতা স্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলে তাঁকে লক্ষ্য করে একের পর এক বোমা ছোঁড়া হয়। ওইসময় কলকাতা আসার জন্য মন্ত্রী নিমতিতা স্টেশনে আসছিলেন। ঘটনার আকস্মিকতায় সকলেই থমকে যান। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন মন্ত্রী জাকির হোসেন এবং তাঁর সঙ্গে থাকা বেশ কয়েকজন। প্রাথমিক অবস্থায় তাঁকে জঙ্গীপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে মুর্শিদাবাদ জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে মন্ত্রী সহ আরও ৩ জনকে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, মন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কিছু দলীয় কর্মী সমর্থক ছিলেন। তাঁরা মন্ত্রীর নামে শ্লোগান দিচ্ছিলেন। নিমতিতা স্টেশন থেকে ডাউন তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস ধরে মন্ত্রীর কলকাতায় আসার কথা ছিলো। এইসময়েই আচমকা মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে একের পর এক বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় মন্ত্রীর বাঁ পা এবং বাঁ হাতে চোট লেগেছে। মন্ত্রীর সঙ্গে থাকা অনুগামীদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের আঘাত গুরুতর।
উল্লেখ্য, এলাকায় দাপুটে এবং জনপ্রিয় নেতা জাকির হোসেন। সূত্র অনুসারে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির এই নেতা কদিন আগেই গোরু পাচার নিয়ে সরব হয়ে দলেরই এক অংশের বিরাগভাজন হয়েছিলেন। এরপরই তাঁর ওপর এই হামলার ঘটনা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
জাকির হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। ফেসবুকে এক পোষ্টে অধীর চৌধুরী বলেন – “জাকির হোসেন এর ওপর আক্রমণের আমি তীব্র নিন্দা করছি। অপরাধীদের গ্রেফতার চাই, শাস্তি চাই। সে তৃণমূলের মধ্যে এক ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব, পরিশ্রম ও বুদ্ধির জোরে একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি, মানুষের বন্ধু, সে নিজের পরিচয়ে জেতে ও বিধায়ক হয়। সততার রাজনীতি তৃণমূল দলের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়! সে সৎ তাই হামলা হল। তৃণমূল দলের দৈত্য কূলে প্রহ্লাদ জাকির।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন