বকেয়া ডিএ সহ একাধিক দাবিতে সরকারি কর্মীদের ডাকা ধর্মঘটের প্রভাব চোখে পড়ার মতো। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দাবি, গোটা রাজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ সরকারি কর্মী এই ধর্মঘটে অংশ নিয়েছে। নবান্ন, মহাকরণ, খাদ্য ভবন থেকে শুরু করে কলকাতা পৌরসভা সব জায়গাই কার্যত ফাঁকা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছে বামপন্থী সরকারি কর্মী সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটি।
শুক্রবার ৪৩ দিনে পড়েছে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধর্না। অনশনের ২৩ দিন। পূর্ব ঘোষিত ধর্মঘটের প্রভাব রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিভিন্ন স্কুল কলেজেও কর্মী ও শিক্ষকরা সাধারণ দিনের তুলনায় অনেক কম সংখ্যায় উপস্থিত হয়েছেন।
ধর্মঘটের সমর্থনে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সামনে পিকেটিং করছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। যাঁরা কাজে আসছেন তাঁদেরকে বোঝানো হচ্ছে আজকের ধর্মঘটে শামিল হবার জন্য। অন্যদিকে নবান্নে আবার কড়া নিরাপত্তার ছবি ধরা পড়েছে। সেখানে যে কয়েকজন কর্মচারী আজ কাজে যোগ দিয়েছেন তাদের ব্যাগ চেক করে ঢোকানো হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, ব্যাগের মধ্যে যদি কোনো কালো কাপড় থাকলে, সেটা পুলিশের কাছেই জমা দিতে হচ্ছে।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতৃত্বের বক্তব্য, ধর্মঘটে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় তৃণমূলের দুষ্কৃতিরা সরকারি কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে, ভয় দেখাচ্ছে। আমরা এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব। শাসক দলের নেতারা বা বিধায়করা যদি ভেবে থাকেন আমাদেরকে এইভাবে ভয় দেখাবেন তাহলে ভুল ভাবছেন। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
উল্লেখ্য, ধর্মঘটের বিরোধিতা করে বৃহস্পতিবারই নবান্নের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। যাতে বলা হয়েছিল শুক্রবার কোনো সরকারি কর্মচারী পূর্ণ বা অর্ধ দিবস ছুটি নিতে পারবেন না। বিজ্ঞপ্তি না মানলে কর্মজীবন থেকে একদিন বাতিল ও একদিনের বেতন কাটা যাবে। মুখ্যসচিবকে পাল্টা নোটিশ দিয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ জানিয়ে দেয় তাঁরা ধর্মঘটের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন