গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে আবেদন জানানো হয়েছিল। কেন মেলা করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এই ইস্যুতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনেকে। শেষপর্যন্ত হাইকোর্ট রায় দেয় যে, শর্তসাপেক্ষে মেলা হবে। আরও কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
যদিও মেলা করা নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী তীব্র নিন্দা করেন। একইভাবে মেলা হওয়ার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বামেরাও। সিপিআই(এম) নেতা সুজন চক্রবর্তী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "হাইকোর্ট গঙ্গাসাগর মেলা সংক্রান্ত বিষয়ে কমিটি বদল করেছে। তবে কতজনকে নিয়ে কমিটি হবে, সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। বিবেচ্য হল, গঙ্গাসাগর যাওয়ার পথে দোকান বাজার সব পালা করে বন্ধ থাকা। করোনা সংক্রমণ ছড়াবে। অথচ গঙ্গাসাগর মেলাটা হবে।"
তাঁর প্রশ্ন, এর ফলে কি সংক্রমণ ছড়াবে না! যে পূণ্যার্থীরা বাইরে থেকে এসেছেন, তাঁদের দশ শতাংশই করোনা আক্রান্ত। তাঁদের তো ফেরত পাঠানো হচ্ছে না। এতে মানুষের বিপদ বাড়ছে। সুজন বলেন, "এত অপদার্থ উত্তরপ্রদেশ সরকারও হরিদ্বারে সংক্রান্তি মেলা বন্ধ করছে। আর পশ্চিমবঙ্গ সরকার কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলা করছে।" গঙ্গাসাগর মেলা সুপার স্প্রেডার হলে হোক, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ইমেজ তৈরি করাটা জরুরি বলেও কটাক্ষ করছেন তিনি।
এরপর সুজনবাবু যোগ করে বলেন, "ভাইপো বলছেন সব খেলা নাকি বন্ধ করে দেবেন।২৫ শে ডিসেম্বর অ্যালেন পার্ক ছড়িয়ে দিল। বর্ষবরণ ছড়িয়ে দিল।তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ছড়িয়ে দিল। এই সমস্ত সংক্রমণ ছড়ানোর পর অন্তত এখনও যদি বুঝত ভালো হত।"
তিনি আরও বলেন - ডায়মন্ডহারবারের মহেশতলাতে বহুদিন ধরে টেস্টিং বন্ধ। বজবজের খড়িবেড়িয়াতেও একই অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে ডায়মন্ড হারবারে বাড়িতে বাড়িতে চিকিৎসকদের গিয়ে পরীক্ষা করার উদ্যোগ প্রসঙ্গে বলেন, "এই ডায়মন্ডহারবার মডেলের মানে কী ? এটা কি ভাইপোর ইমেজ বৃদ্ধির জন্য ?"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন