রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে গত বেশ কয়েকদিন ধরে। পাশাপাশি ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে রাজ্যে। আজ থেকে রাজ্যে বেশ কিছু করা বিধিনিষেধ লাগু করল রাজ্য সরকার। কিন্তু এই বিধি-নিষেধ আরোপ করতে এত দেরি করল কেন সরকার? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হল বিরোধীরা। একই সঙ্গে এদিন যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
এই ইস্যুতেই এবার রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। রবিবার তিনি বলেন, 'কোভিড পরিস্থিতি সংকটজনক হলে বিধিনিষেধ জারি করাই শ্রেয়। কিন্তু আগেও বলেছি, এখনও বলছি এই সরকার কখন কী করবে, তার কোনও মাথামুন্ডু নেই।'
বিশেষজ্ঞ কমিটি বসেছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুজন। কমিটির সদস্যরা এই নিয়ে কোনও মত দিয়েছেন কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সরকার ঘোষিত গ্লোবাল অ্যাডভাইজরি কমিটি কী জানিয়েছে? সবকিছুর বিশেষজ্ঞ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর মুখ্যসচিব? এটা তো হতে পারে না। তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, 'একটা নির্দেশ জারি করে বলে দেওয়া হল, কাল থেকে কী করা যাবে আর যাবে না। এর পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ কমিটির মতটাও জানা উচিত ছিল তাঁদের।'
সংশয় প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'কাল বাদে পরশু উল্টো কথা বলবেন না তার গ্যারান্টি কোথায়।' একইসঙ্গে তাঁর সংযুক্তি, এই সিদ্ধান্তের জেরে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়বেন গরিব মানুষেরা। আমাদের দুটো প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী অ্যালেন পার্কে নাচাগানা করলেন কেন? তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে উৎসব হৈ-হুল্লোড় হল কেন? এদিকে আবার গঙ্গাসাগরে গিয়ে সাংবাদিকদের ধমক দিলেন। যা যা করলেন, এখন তার উল্টোটা বলছেন।
মুখ্যসচিবের বিবৃতি দেওয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দুয়ারে সরকার বন্ধ করা হচ্ছে জানুয়ারি মাসে। কিন্তু দুয়ারে সরকার চালু করার নির্দেশ তো মুখ্যমন্ত্রীই দিয়েছিলেন। আর তার মাধ্যমে দুয়ারে সরকারের নামে দুয়ারে সংকট, দুয়ারে সন্ত্রাস, দুয়ারে সর্বনাশের ব্যবস্থা করছিলেন। বিশেষজ্ঞ কমিটির কোনও দামই দিলেন না তিনি। তাই জনগণ যতটা পারবেন সতর্ক থাকুন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন