'তৃণমূলের নেতারাই মানুষের বিড়ম্বনার কারণ', সৌগতর 'পার্থ বিড়ম্বনা' মন্তব্যে কটাক্ষ সুজনের

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে একটা ওপেন ডিসপ্লে ছিল। স্তূপীকৃত টাকার হদিশ পাওয়া গেছে। মানিক বা অনুব্রতর ক্ষেত্রে অনেক তদন্ত করেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত স্তূপীকৃত টাকা পায়নি। - সৌগত রায়
অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য
অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যফাইল ছবি, গ্রাফিক্স আকাশ
Published on

তৃণমূলের জন্য বিড়ম্বনা পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল বা মানিক ভট্টাচার্য নয়। ফের বিষ্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কের শিরোনামে উঠে এলেন দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, গোরু পাচার, কয়লা পাচার সহ একাধিক মামলায় যখন জর্জরিত রাজ্য সরকার, ঠিক সেই পরিস্থিতিতে সৌগত রায়ের এই মন্তব্যে তুঙ্গে রাজ্য রাজনীতি।

তৃণমূল সাংসদের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী জানান - তাহলে এটাই স্পষ্ট হচ্ছে যে, তৃণমূলের নেতারাই মানুষের বিড়ম্বনার কারণ। এটা সৌগত রায় বুঝতে পারবেন না। কারণ, হাতে হাতে টাকা নিয়ে উনিও থ্যাঙ্ক ইউ বলেছেন।

অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কথায়, সৌগত রায় নিজেই তো তৃণমূলের বিড়ম্বনা। তাঁকে তো হাতে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল।

বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সৌগত রায় জানান, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে একটা ওপেন ডিসপ্লে ছিল। স্তূপীকৃত টাকার হদিশ পাওয়া গেছে। মানিক ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রে অনেক তদন্ত করেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত স্তূপীকৃত টাকা পায়নি। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ওমুক তমুক এগুলো সবই প্রমাণ সাপেক্ষ, সেইজন্যই দল অপেক্ষা করছে।"

অনুব্রত প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা জানান, "এ ক্ষেত্রেও বিষয়টা একই। তদন্ত করে বলা হচ্ছে এখানে-ওখানে অ্যাকাউন্ট আছে, সেগুলো কিছুই প্রমাণিত নয়। কাগজপত্র কী পেয়েছে সেটা অন্য কথা। কিন্তু অনুব্রতর কাছে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়া যাচ্ছে, তা তো দেখা যায়নি। সিবিআই বা ইডি যা বলছে বাকিদের ক্ষেত্রে কোনওটাই প্রমাণিত হয়নি।"

পার্থ এবং তাঁর সহযোগীর থেকে যে পরিমাণ টাকা হদিশ মিলেছে তারপর তো দল চুপ করে বসে থাকতে পারে না। অনুব্রত এবং মানিকের তুলনায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্যই দলের বিড়ম্বনার কারণ। এমনটাই দাবি সৌগত রায়ের।

প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই পার্থর বিরুদ্ধে ঘাসফুল শিবিরকে যে পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছিল, অনুব্রত মণ্ডল এবং মানিক ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রে চিত্রটা একেবারেই আলাদা। অনুব্রতর পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর ঠিক এই নিয়েই সরব হয়েছে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি।

অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য
চিটফান্ড কাণ্ডে তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠ মিডিয়া কোম্পানির মালিককে গ্রেপ্তার CBI-র

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in