Supreme Court: হাতি তাড়ানোর ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ অমান্য! রাজ্য সরকারকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

People's Reporter: আবেদনকারী জানিয়েছেন, হাতি তাড়ানোর জন্য অন্য রাজ্যে গ্রামবাসীদের দেওয়া হচ্ছে এলইডি টর্চ। হাতি তাড়াতে লঙ্কার ধোঁয়া ও ঢাক ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ এই ধরনের পদক্ষেপ করেনি।
Supreme Court: হাতি তাড়ানোর ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ অমান্য! রাজ্য সরকারকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের
ফাইল ছবি
Published on

বন্য হাতি তাড়ানোর ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করেছে বাংলা। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ না মেনে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঁটা (ধাতব শলাকা) ও জ্বলন্ত মশাল। এই অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত অবমাননা মামলায় পশ্চিমবঙ্গকে নোটিশ পাঠালো সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপালের বক্তব্য জানতে চেয়েছে আদালত।

বন্য হাতি তাড়ানোর ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় যে নিষ্ঠুর পদ্ধতি মেনে চলা হয় তা বন্ধ করতে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ চান আবেদনকারী। যার মধ্যে কর্ণাটক ও পশ্চিমবঙ্গে হাতিদের গতিবিধি রুখতে ধাতব শলাকার ব্যবহার ও পশ্চিমবঙ্গে সরকারি মদতে ‘হুলা পার্টি’ নিয়োগও করা হয়েছে বলে জানান আবেদনকারী।

প্রেরণা সিং বিন্দ্রা বনাম কেন্দ্রের মামলায় ২০১৮ সালে দুটি নির্দেশ দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গে ধাতব শলাকা ও জ্বলন্ত মশালের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সেই সময় রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, হাতি তাড়ানোর সময়ে অন্য পদ্ধতি মেনে চলা সম্ভব নয়। শীর্ষ আদালত রায়ের ব্যাখ্যায় জানায়, জরুরি পরিস্থিতিতে মৃত্যু বা ফসলের ক্ষতি এড়াতে মশাল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে বিকল্প কোনও পথ আছে কিনা, তা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।

সেই মামলায় নতুন করে আবেদন জানিয়েছেন আবেদনকারী। সেই আবেদনে আবেদনকারী জানান, রাজ্য সরকার হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্বের সঠিক সমাধান করতে পারেনি। এমনকি বিকল্প পথও খুঁজে বের করতে পারে নি। উদাহরণস্বরূপ আবেদনকারী জানান, ২০২৪ সালের ১৫ আগষ্ট ঝাড়গ্রামে জ্বলন্ত মশাল ছুঁড়ে মেরে ফেলা হয় এক হাতিকে। আবেদনকারীর মতে, হুলা পার্টির অভিযানে পরিস্থিতি অনিশ্চিত থাকে। জনতাকে নিয়ন্ত্রণের বিশেষ উপায়ও থাকে না। এ সব পদ্ধতি অনুমোদন করে পশ্চিমবঙ্গ ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন ভাঙছে।

আবেদনকারী আরও জানিয়েছেন, হাতি তাড়ানোর জন্য অন্য রাজ্যে গ্রামবাসীদের দেওয়া হচ্ছে এলইডি বা সৌরশক্তি চালিত টর্চ। হাতি তাড়াতে লঙ্কার ধোঁয়া ও ঢাক ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি হাতির যাতায়াতের কথা জানতে আগাম হুঁশিয়ারির ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ এই ধরনের পদক্ষেপ করেনি। অন্যদিকে, কর্ণাটক সরকার বিকল্প পথ খুঁজে পেয়েছে হাতি তাড়ানোর।

এবিষয়ে হাতি বিশেষজ্ঞ পি বেঙ্কটচালমের বক্তব্য, ‘হাতির পালকে জঙ্গলে ফেরাতে আগুনই একমাত্র পথ। টর্চ এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করে ফল মেলে না। আফ্রিকাতেও হাতির পাল তাড়াতে আগুন ব্যবহার করা হয়। তবে আগুন যাতে হাতির গায়ে না লাগে তা নিশ্চিত করতে হবে। দেখতে হবে, হুলা পার্টির সদস্যেরা উত্তেজিত হয়ে যাতে কাঁটা না ছোড়েন।’

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in