কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে কেন্দ্র। এমনই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যদিও কেন্দ্রের পাল্টা আবেদন ছিল, রাজ্যের এই অভিযোগের গ্রহণযোগ্যতা নেই। কিন্তু কেন্দ্রের সেই আবেদন খারিজ করে রাজ্যের অভিযোগকে মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কেন্দ্র সরকার সিবিআইয়ের অপব্যবহার করছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা আছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ আগষ্ট।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে সিবিআই তদন্তে রাজ্যের অনুমতি বা ‘জেনারেল কনসেন্ট’ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তারপরও রাজ্যের অনুমতি ছাড়া একাধিক মামলা দায়ের করেছে সিবিআই। সেই পরিস্থিতিতে সিবিআই যাতে নতুন করে মামলা দায়ের না করতে পারে, সেকারণে ২০২১ সালের আগষ্ট মাসে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়।
রাজ্যের অভিযোগ ছিল, সিবিআই কোনও মামলায় ঢুকলে তার সূত্র ধরে ইডিও ঢুকে পড়ছে। এই পরিস্থিতির বদল হওয়া দরকার। গত তিন বছর ধরে এই মামলাটি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি আগের শুনানিতে আদালতে জানান, রাজ্যে ঢোকার আগে সিবিআইয়ের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। নাহলে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো নষ্ট হচ্ছে।
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই মামলার পাল্টা সওয়াল করেছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা। তিনি আদালতে জানিয়েছেন, “সিবিআই একটি স্বাধীন সংস্থা। কেন্দ্র তাদের নিয়ন্ত্রণ করে না। কেন্দ্র কোনও এফআইআর দায়ের করে না। এই মামলা সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে না করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে করা হয়েছে।“
এরপর এই মামলায় তথ্য গোপনের অভিযোগও তুলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, “এর আগে একই বিষয়ে অন্য দু’টি মামলা করা হয়েছিল রাজ্যের তরফে। এই কোর্টে সেই তথ্য গোপন করা হয়েছিল। কী ভাবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের কাছে তথ্য গোপন করা যায়? এটাই মামলা খারিজের অন্যতম কারণ হতে পারে।“ যদিও আদালত কেন্দ্রের যুক্তি খারিজ করে দিয়ে রাজ্যের বক্তব্যের গ্রহণযোগ্যতা আছে বলে মনে করছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন