কলকাতা হাইকোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেলেন চাকরি হারানো ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মী। শুক্রবার, হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ঋষিকেশ রায় এবং সঞ্জয় করলের ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে, এই মামলায় সিবিআইকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
তবে, শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, শূন্যপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে এখনই কোনও কাউন্সেলিং করতে পারবে না স্কুল সার্ভিস কমিশন। অর্থাৎ, গ্রুপ ডি-র ১৯১১টি শূন্যপদে নিয়োগের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত মনে করছে হাই কোর্টের নির্দেশে ১৯১১টি শূন্যপদে এখনই নতুন নিয়োগ করলে, আইনি জটিলতা আরও বাড়বে।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি, কলকাতা হাইকোর্টের চাকরী বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন চাকরি হারানো ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মী। সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করে তাঁরা। কিন্তু, তাঁদের সেই আবেদন মেনে নিল না সুপ্রিম কোর্ট।
১০ ফেব্রুয়ারি, চাকরি হারান বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়া এসএসসি (SSC) গ্রুপ ডি-র ১৯১১ জন কর্মী! কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে ১৯১১ জনের সুপারিশপত্র বাতিল করে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের গ্রুপ ডি নিয়োগ পরীক্ষায় যাঁরা বসেছিলেন তাঁদের মধ্যে ২৮২৩ জনের উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট বিকৃত হয়েছে বলে আদালতে স্বীকার করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানায়, ২৮২৩ জনের মধ্যে ১৯১১ জন চাকরি করছেন রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে।
তারপরেই, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় অবিলম্বে সেই ১৯১১ জনের ওএমআর শিট কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপলোড করার নির্দেশ দেন। এবং তাঁদের চাকরি বাতিল করেন ও বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। যদিও এই বেতন ফেরতের সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের উপর আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরি হারানো কর্মীরা।
জানা যাচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ মার্চ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন