পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে! তাঁদের বক্তব্যতেই তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শুভেন্দু বলছেন কাঁটাতার টপকে আসা হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষদেরই ফেরত যেতে হবে। কিন্তু সুকান্ত মজুমদার বলছেন তাঁরা কাউকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে চান না। তাহলে কি বিজেপির অন্দরেই কোণঠাসা বিরোধী দলনেতা?
‘অনুপ্রবেশকারী’ এবং ‘শরণার্থী’ বিষয়কে হাতিয়ার করে নির্বাচনে লড়েছে বিজেপি। বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতাকে বলতে শোনা গেছে NRC চালু করে বাংলাদেশ থেকে আশা অনুপ্রবেশকারীদের ফের বাংলাদেশেই ফেরত পাঠানো হবে। তাঁদের নিশানায় ছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। কিন্তু মালদহের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘যে কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে ঢুকেছে, তাকে কাঁটাতারের বেড়ার ও পারে যেতে হবে। সে হিন্দু হোক আর মুসলিম। আর ভারতে জন্মালে সে তো ভারতেই থাকবে।’
শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্য কার্যত সমর্থন করলেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, আমরা কাউকেই দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে চাই না। অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে তাদের সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব দিতে চাই। আর শুভেন্দু অধিকারী যা বলেছেন সেটা আমি জানি না। তবে উনি ওনার ব্যক্তিগত মতামত দিয়ে থাকতে পারেন। এই বিষয়ে ওনার সাথে কথা বলে বিষয়টি স্পষ্ট করতে হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচন হোক বা ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচন, বিজেপি সাংসদ থেকে শুরু করে বিধায়কদের মুখে বার বার শোনা গিয়েছিল এনআরসি (NRC) এবং সিএএ (CAA)-র প্রসঙ্গ। যার প্রভাব বেশি পড়েছিল মতুয়া সম্প্রদায়ের ওপর। তবে এখনও চালু পশ্চিমবঙ্গে এখনও চালু হয়নি সিএএ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, আরও ছয় মাস লাগতে পারে সিএএ চালু করতে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন