টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান নাগরিকদের পরিষেবা দিতে ব্যর্থ। এমনই অভিযোগ তুলে দল ছাড়লেন টাকি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুনীল সর্দার। সুনীলের দাবি, ‘দলে থেকে যদি দলের উপকারে না লাগি, তবে থেকে লাভ কী?’ তবে দল ছাড়লেও এখনই কাউন্সিলর পদ ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন সুনীল সর্দার।
সোমবার রাতে সমাজ মাধ্যমে একটি দীর্ঘ পোষ্ট করেন সুনীল সর্দার। সেখানে তিনি লেখেন, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে দলে আছি। বহু বিরোধীদের সঙ্গে লড়াই করেছি। কিন্তু বর্তমান হাসনাবাদ রাজনৈতিক পেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করা সম্ভব নয়। তাই সরে দাঁড়াচ্ছি রাজনীতি থেকে। সুনীল লেখেন, ‘আমি দলে থেকে যদি দলের শ্রীবৃদ্ধিতে কোনও কাজ করতে না পারি তবে দল কেন করব?’
তবে সোমবার সুনীলের দল ছাড়ার কারণ স্পষ্ট না হলেও, মঙ্গলবার তিনি কারণ স্পষ্ট করেছেন। টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সুনীল বলেন, ‘যে ভাবে এখন পুরসভা চলছে, তা দেখে আমার অসুস্থ মনে হচ্ছে। চেয়ারম্যানের জন্য পুরসভা ত্যাগ করছি। টাকি পুরসভা নিয়ে দলের নেতৃত্ব ভাবুন।‘
এরপরেই সুনীলের অভিযোগ, ‘চেয়ারম্যান নাগরিক পরিষেবা দিতে ব্যর্থ। পুরসভার কোনও উন্নয়নমূলক কাজ তিনি করেন না। তার জন্য আমরাও এলাকার মানুষকে পরিষেবা দিতে ব্যর্থ। বহুবার জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি তাই দল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছি।‘ দল ছাড়লেও এখনই কাউন্সিলর পদ ছাড়ছেন না তিনি। সুনীল জানিয়েছেন, ‘মানুষ যে হেতু আমাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন, তাই আমি কাউন্সিলরের পদ ছাড়ব না।‘
যদিও সুনীল সর্দারের অভিযোগ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়। অন্যদিকে, সুনীলের এই অভিযোগকে সমর্থন জানিয়েছেন বসিরহাট সাংগাঠনিক জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, বহু দিন ধরেই সাধারণ মানুষ কোনও পরিষেবা পাচ্ছেন না। টাকি পুরসভা পরিষেবা দিতে ব্যর্থ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন