মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের মাঝেই পুজোর বোনাসের দাবিতে সোমবার পাহাড়ে ১২ ঘন্টার বনধ পালন করছে চা শ্রমিকদের আটটি সংগঠন। তাঁদের দাবি পুজোর মরসুমে ২০% বোনাস দিতে হবে মালিক পক্ষকে। কিন্তু মালিক পক্ষ ১৩% শতাংশ বোনাস দিচ্ছে। তাঁদের দাবি মানছে না। তাই বনধের ডাক দিয়েছেন শ্রমিকরা।
রবিবার অর্থৎ গতকাল দাগাপুরে পুনরায় মালিকপক্ষ এবং শ্রমিকদের বৈঠক হয়। কিন্তু সেই বৈঠকও কার্যত ভেস্তে যায়। এর আগে এই সমস্যা সমাধানের জন্য আরও ৩টি বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। গতকালও মালিকপক্ষ জানিয়ে দেন তাঁদের পক্ষে ১৩% বোনাসের বেশি দেওয়া সম্ভব নয়। এর প্রতিবাদেই সোমবার ১২ ঘন্টার ধর্মঘট পালন করছেন চা শ্রমিকরা।
বলা চলে ৮ বছর পর চা শ্রমিকদের বনধের সাক্ষী থাকছে পাহাড়। এই বনধের জেরে রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন পর্যটকরা। কারণ পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় পথ অবরোধও করেছেন চা শ্রমিকরা। দার্জিলিং ম্যালে প্রায় সমস্ত দোকান বন্ধ রয়েছে। সমতল থেকে পাহাড়ে বা পাহাড় থেকে সমতলে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে আছে। শ্রমিকদের এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন জিটিএর চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপা।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ”চা শ্রমিকদের বোনাস নিয়ে যা সমস্যা, লেবার কমিশন দেখছে। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান হবে। আমাদের হস্তক্ষেপের কিছু নেই।” এর পরই বলেন, ”কোনও বন্ধ হচ্ছে না। বাংলায় বন্ধ হয় না। এটা রাজনৈতিকভাবে অশান্তি করার চেষ্টা।” উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রবিবার শিলিগুড়ি গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজই ফিরবেন।
উল্লেখ্য, চা শ্রমিকদের দাবি প্রসঙ্গে সিপিআইএম দার্জিলিং জেলার সম্পাদক সমন পাঠক বলেন, বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর আমরা সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন করি। এরপরেও যদি কোনও সুরাহা না হয় তাহলে শ্রমিকদেরও ক্ষতি এবং অন্যান্য ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতি হবে। শ্রমিকদের দাবি পূরণ না হলে আগামীকাল সমস্ত কারখানার সামনে এসে শ্রমিকরা অবস্থানে বসবেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন