পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টাকার অঙ্ক বর্তমানে পৌঁছে গিয়েছে ৩৫০ কোটি টাকায়। আগামীতে, তা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার, আদালতে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
জানা যাচ্ছে, সোমবার, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে ইডি। এদিন আদালতে ইডির আইনজীবী জানান, ‘দুর্নীতির টাকার অঙ্ক ক্রমেই বেড়ে চলছে। আগে, মনে করা হয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকার পরিমাণ ১১১ কোটি টাকা। কিন্তু, তদন্ত যত এগিয়েছে সেই অঙ্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫০ কোটি টাকায়। এই টাকার অঙ্ক আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
একইসঙ্গে, ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি মোবাইল থেকে পাওয়া নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্যকে ‘সোনার খনির’ সাথে তুলনা করেছে ইডি। দুই আইফোনে এমন অনেক নাম পাওয়া গিয়েছে, যা শুনলে চমকে যেতে হবে বলে দাবি করেছেন ইডির আইনজীবী।
আদালতে ইডির আইনজীবী জানান, ‘অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত। তাঁদের নাম খোলা আদালতে বলা যাবে না। তবে, আদালতে জমা দেওয়া কেস ডায়েরিতে এই প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম রয়েছে। নামগুলো দেখলে আপনি চমকে যাবেন।’
আইনজীবী দাবি করেন, ‘ধৃত শান্তনুর বাড়ি থেকে ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। এই তালিকায় নাম থাকা বেশ কয়েকজন এখন বিভিন্ন সরকারী স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। দুর্নীতির বহর এভারেস্টের চূড়াকেও ছোট মনে করাবে।’
এদিন, ধৃত শান্তনু বন্দোপাধ্যায়কে ১১ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এর আগে, আদালতের বাইরে শান্তনু বন্দোপাধ্যায় দাবি করেন, এই দুর্নীতির মূল পাণ্ডা হল কুন্তল ঘোষ। তিনি সবাইকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি যে অর্থ সংগ্রহ করেছেন, তা রাজ্যের বাইরে পাঠাচ্ছেন।
-With IANS Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন