ডিএলএড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক। সেই ঘটনাকে স্মরণে রেখেই এবার আসন্ন টেট পরীক্ষা নিয়ে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে চাইছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আগামী ১১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে প্রাথমিক টেট পরীক্ষা। তার আগে পর্ষদের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বচ্ছভাবে পরীক্ষা পরিচালনা করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে যে যে নিয়মাবলী রয়েছে,
১) প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রবেশ এবং বাহির পথে সিসিটিভি লাগানোর ব্যবস্থা থাকবে।
২) প্রতিটি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার্থীদের বায়োমেট্রিক পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক।
৩) পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পাঠানো হবে এক ঘণ্টা আগে। আগে থেকে প্রশ্নপত্র পাঠানো হবে না।
৪) পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করা প্রতিটি শিক্ষক এবং অন্যান্য কর্মচারীদের গলায় বৈধ পরিচয়পত্র ঝোলানো থাকতে হবে।
৫) মোবাইল এবং কোনও ধাতব জিনিস নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।
এ প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানান - টেট যাতে স্বচ্ছ ভাবে হয়, সেজন্য আমরা সমস্তরকম ব্যবস্থা রাখছি। ফের নতুন কোনও বিতর্ক যাতে না তৈরি হয়, তারই চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে, গত ৩০ নভেম্বর থেকে টেটের অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু সেই নিয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সমাজমাধ্যমে ভুয়ো অ্যাডমিট কার্ড ছড়িয়ে পড়ায় ফের প্রশ্নের মুখে পর্ষদ। এ বিষয়ে গৌতম বাবুর দাবি, এইসব আসলে পর্ষদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে।
বিগত কয়েকমাস ধরে যেভাবে টেট দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য। আজও নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন জারি রেখেছেন বিগত কয়েক বছরের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। কোটি কোটি টাকা আর্থিক তছরূপের অভিযোগে জেলে রয়েছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-বিধায়করা। এই অবস্থায় নতুন করে ফের পর্ষদের টেট পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার বিষয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন