প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে। তাঁর সাথে এক ব্যক্তির কথোপকথন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল বিধায়ক।
ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপে ফোনের অন্যপ্রান্তে এক পরীক্ষার্থীর আত্মীয় রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। চাকরির জন্য জমা করা টাকা ফেরত চাইছেন তিনি বিধায়কের কাছ থেকে। ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থীর জন্য টাকা দিয়েছিলেন তিনি। এই ভাইরাল অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার।
ভাইরাল অডিও ক্লিপে দুই ব্যক্তির কথোপকথন শোনা যায়। বিধায়ক অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির কাছে জানতে চান, কোথা থেকে এবং কত টাকা দিয়েছিলেন তিনি? কার মাধ্যমে যোগাযোগ করেছিলেন? অন্য প্রান্তে থাকা ওই ব্যক্তি প্রশ্নের উত্তরে বলছেন পাঁচ দেওয়া আছে। বিধায়কের ভাগ্নে সুমিত সাহার মাধ্যমে টাকা দিয়েছেন বলে দাবি করেন।
বিধায়কের কণ্ঠস্বর বলে দাবি করা হচ্ছে সেই ব্যক্তির আওয়াজকে, তাঁকে এও বলতে শোনা যায় যে কিস্তির মাধ্যমে টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন তিনি। দশ দিন পর পুনরায় ওই ব্যক্তিকে ফোন করতে বলা হয়। তখনই জানানো হবে কবে টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
এই অডিও ফাঁসের পরই তৃণমূল বিধায়ক বলেছেন, ওই অডিও তাঁর নয়। তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। তিনি সমস্ত বিষয়টা প্রশাসনকে জানাবেন।
সিপিআইএম মুখপত্র গণশক্তি সারাক্ষণ (অনলাইন)-এ ওই ব্যক্তির নাম দীপক মণ্ডল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। দীপক মণ্ডল অভিযোগ করেন, প্রথমে ৮০ হাজার এবং পরে ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নগদ দিয়েছিলেন। তাঁর একটাই দাবি টাকা ফেরত দিক বিধায়ক।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন