প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় রঞ্জন নামে এক ব্যক্তির। তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তেরও নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এবার সেই ব্যক্তির খোঁজে বাড়ি গেলে দেখা মেলেনি তাঁর।
সম্প্রতি হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় টেট দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রঞ্জন ওরফে চন্দন মন্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের ছাড়পত্র দেন সিবিআইকে। এরপরই বাগদায় চন্দনের বাড়িতে গেলে তাঁর খোঁজ মেলেনি বলে জানা যায় সূত্রের খবরে। গোপন সূত্রে জানা যায় রঞ্জন বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়ে আছেন। পরিবারের সদস্যেরা বলছেন, চন্দন কোথায় আছেন তাঁরা জানেন না। স্থানীয়রাও মুখে কুলুপ এঁটেছে। আপাতত ঐ অভিযুক্তের কোনো সন্ধান মেলেনি বলেই সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে।
তবে এখন রাজ্য জুড়ে রঞ্জনের পরিচয় নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। রঞ্জন ওরফে চন্দন মন্ডলের নাম প্রথম প্রকাশ্যে আনেন তৃণমূল সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সিবিআই-র প্রাক্তন অতিরিক্ত ডিরেক্টর উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে উল্লেখও করেছিলেন গোপনীয়তার জন্য নাম পরিবর্তন করে রঞ্জন দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সেখানে দাবি করেন, মন্ত্রীর এক পুরনো সৈনিক রঞ্জনের বিষয়টি জানান। ঐ সৈনিক বলেন বাগদা বিধানসভায় চাকরি বিক্রি হচ্ছে। এখানে রঞ্জন প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারি শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করে।
পাশাপাশি তিনি এও জানান, প্রাইমারির জন্য ১০ লাখ ও আপার প্রাইমারির জন্য ১৫-২০ লাখ টাকা নিতেন। মন্ত্রীর ঐ পোস্টে দাবি করা হয় - এই রঞ্জন বাগদা, উত্তর ২৪ পরগণা, বনগাঁ, নদীয়ার বহু লোকের চাকরি টাকার বিনিময়ে পাইয়ে দিয়েছে। বহুদূর থেকে লোকেরা এসে তাঁর কাছে অগ্রিম টাকা জমা দিয়ে যেতেন। রঞ্জন এক পরিবারের ৯ জনকেও চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রীর ঐ লেখাতেই উল্লেখ আছে যাদের চাকরি হত না তাঁদেরকে টাকা ফেরতও দিয়ে দিতেন রঞ্জন।
প্রসঙ্গত, মন্ত্রীর ঐ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের পরেই আদালতে প্রাথমিক দুর্নীতি নিয়ে মামলা হয়। সেই মামলার রায়দানে বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে মামলার পক্ষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৫ জুন মুখবন্ধ খামে সিবিআইকে রিপোর্ট জমা দেওয়ায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টের তরফ থেকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন