হাইকোর্টের নির্দেশে মুর্শিদাবাদের বড়ঞাতে তৃণমূলের কার্যালয় ভেঙে ফেললো পুলিশ। সরকারি জমিতে তৈরি করা হয়েছিল এই পার্টি অফিস। কার্যালয় ভাঙার আগে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশ।
এতদিন দিল্লি বা উত্তরপ্রদেশে দেখা যেত বুলডোজার দিয়ে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার দৃশ্য। এবার ওই একই দৃশ্যের সাক্ষী থাকলো মুর্শিদাবাদের বড়ঞাবাসী। বিতর্কিত দলীয় কার্যালায় বাঁচানোর জন্য সকাল থেকেই জমায়েত করেন তৃণমূল কর্মীরা। তাঁরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেন যাতে কার্যালয়টি ভেঙে ফেলা না হয়। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। হাইকোর্টের নির্দেশে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় সরকারি জমিতে গড়ে ওঠা তৃণমূলের কার্যালয়টি।
ভবনটি ভাঙতে যাতে কোনোরকম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয় সেই জন্য বড়ঞা থানার পক্ষ থেকে এলাকা কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। এছাড়াও অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন ঘটনাস্থলে।
তৃণমূল কর্মীদের অবশ্য বক্তব্য, এটা দলের পার্টি অফিস ছিল না। বিধায়ক অনেক জায়গা যান। তার মানে এটা নয় যে বিধায়ক যেখানেই বসবেন সেটাই তৃণমূলের কার্যালয় হয়ে যাবে।
তাঁরা বলেন, ওই ভবনে অনেক মানুষের ব্যবসা ছিল। অনেক তৃণমূল সমর্থকও আসা যাওয়া করতো। এলাকার বিধায়কও আসতেন। তবে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে তা মেনে নিচ্ছি আমরা।
ওই ভবনের মালিক অভিযোগ করেন, হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে ৪৫ নম্বর ঘরটি ভেঙে ফেলার। কিন্তু প্রশাসন ৪৩ এবং ৪৪ নম্বর ঘরও ভাঙছে।
অন্যদিকে, পুলিশের দাবি হাইকোর্ট যা নির্দেশ দিয়েছে সেই নিয়ম মেনেই ভাঙা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বড়ঞা ব্লকের আফ্রিকা মোড়ে নির্মিত হয়েছিল কার্যালয়টি। তারপরেই স্থানীয় বাসিন্দা শফিউর রহমান আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁর দাবি এই ভবনটি সরকারি জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে। ওই বাসিন্দার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন