তৃণমূলে যোগদান করার পরে ফের রাজ্য-বিজেপির ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিলেন অর্জুন সিং। বিজেপি কার্যত তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখতো বলে জানান তিনি। তাঁর কথায়, দল পরিবর্তনের পরেও বিজেপির অনেক নেতাই মনে করতেন তাঁর সাথে তৃণমূলের ঘনিষ্ট সম্পর্ক আছে।
২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনে পদ্মশিবির থেকে ভোটে লড়ে ব্যারাকপুরের সাংসদ হন অর্জুন সিং। তারপর ফের ২১-র বিধানসভা নির্বাচনে ছেলে পবনও লড়ে ঐ একই শিবিরের হয়। কিন্তু ফের তৃণমূলে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তিনি। রাজ্যের বিজেপি নেতারা তাঁকে বরাবরই সন্দেহের চোখে দেখত বলে তিনি দাবি করেন। তাঁরা নাকি বিজেপির মধ্যে বিশ্বাসযোগ্য ছিলেন না। দলের তরফ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জানতে পারতেন না অর্জুন সিং। তাঁকে এও বলতে শোনা গেছে, দল অনেক পরিস্থিতিতে পাশে না দাঁড়িয়ে সমালোচনা করেছে। এই সবকিছুকে সামনে রেখে বিজেপি সাংসদ তৃণমূলে যোগদান করেছেন বলে দাবি করেছেন।
অর্জুনের দল ছাড়ার পেছনে আরও একটি কারণ রয়েছে বলে রাজনীতিবিদরা মনে করেছেন, ২০১৯ এর লোকসভা, ২১-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতলেও ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে বিজেপি। কার্যত অর্জুন সিং ঐ অঞ্চলে একা হয়ে পড়ছিলেন। আর এই আবহেই পুরোনো দলে ফিরতে বেশী দেরি করলেন না তিনি। সূত্রের খবর, যারা বুথ স্তরের কিছু বোঝেই না তাদেরকে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। কেউ কেউ দুই থেকে তিনটি পদ অধিকার করে রেখেছে কিন্তু কোনো কাজ তারা করতে পারে না বলেও অভিযোগ করেন অর্জুন।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই সংবাদমাধ্যমের সামনে রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অর্জুন সিং বলেন, "ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সরদার। বিজেপিতে যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁদের অনেকেই কাজের না। বাংলার রাজনীতির সাথে অন্য রাজ্যের রাজনীতি গুলিয়ে ফেললে চলবে না। সঠিক লোককে সঠিক দায়িত্ব না দিলে এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসা যাবে না। এখন বিজেপি যাঁদের দায়িত্ব দেয় তাঁরা দলের সাথে বেইমানি করে। বিজেপির কিছু লোক দলের ভালো চায় না। সোশ্যাল মিডিয়াতে রাজনীতি করে বড়ো নেতা হতে চায়। হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুকে রাজনীতি করে এখানে সংগঠন করা যাবে না! বাংলায় রাজনীতি করতে হলে রুট লেভেলে নেমে রাজনীতি করতে হবে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন