সোমবার বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনী বিল। অর্থাৎ রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে গেল রাজ্য সরকার।
সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনী বিলটি ভোটাভুটিতে পাশ হয়েছে। এক্ষেত্রে বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৮৩ টি। আর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৪০ টি। এ ব্যাপারে বিরোধীরা প্রশ্ন করেছে, "মুখ্যমন্ত্রীর মতো রাজনৈতিক ব্যক্তি কেন আচার্য?" এই প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, "বিশ্বভারতীর আচার্য প্রধানমন্ত্রী হলে, রাজ্যের ক্ষেত্রে আপত্তি কীসের?"
রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব ইতিমধ্যেই বহুবার প্রকাশ্যে এসেছে। রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য-র পদ এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভিজিটর পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তোড়জোড় চলছিল রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। সরকারের তরফে পূর্বেই জানানো হয়েছিল যে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে বসানোর বিষয়ে বিধানসভায় বিল আনা হবে। শিক্ষা মহলের একাংশ থেকে শুরু করে রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও এই নিয়ে বিভিন্নরকম প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
তবে নিয়ম অনুযায়ী, বিধানসভায় বিল পাশ হওয়ার পর সেটা যাবে রাজ্যপালের কাছে। রাজ্যপাল সেই বিল স্বাক্ষর না করলে তা আইনে পরিণত হবে না। সেক্ষেত্রে এখন প্রশ্ন উঠছে যে, রাজ্যপাল এই বিল স্বাক্ষর করবেন কিনা!
এই প্রসঙ্গে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ট্যুইট করেছেন - “বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নয়, মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে বিল পাশ বিধানসভায়। ষোলকলা পূর্ন প্রায়! শিক্ষাব্যবস্থাকে কলুষিত করে, নিয়ন্ত্রণ এবং উচ্চশিক্ষাকে তোলাবাজীর ক্ষেত্রে পরিনত করতে, আর এক ধাপ এগোল রাজ্যের শাসকদল। অনুপ্রেরণার কি অপার মহিমা!”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন