আবারও বিজেপি নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। সম্প্রতি কলকাতা পুরসভা ভোটে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। প্রধান বিরোধী দলের তকমা হারিয়ে বিজেপি এই মুহূর্তে তৃতীয় স্থানে। দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিধানসভা ভোটে শূন্য হয়ে যাওয়া বামেরা।
এক ব্যক্তির ট্যুইটের উত্তরে লেখেন – “আমার ভেঙে পড়ার কিছু নেই, কারণ আমার পাবার কিছু নেই। এও জানি তৃণমূল চুরমার হয়ে যাবে, কারণ এক-নেতা-নির্ভর নীতিহীন পার্টি বেশিদিন টেকে না। শুধু চোখের সামনে বিজেপি নিজের পায়ে কুড়ুল মারল এবং ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন হবার পথে এগিয়ে যাচ্ছে দেখে খারাপ লাগে, এই যা।”
প্রকাশ্যে বিজেপির সমালোচনা করা নিয়ে অনেক বিজেপি সমর্থক তাঁর প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন। পুরভোটে বিজেপির হতশ্রী ফলাফলাফল সামনে আসতেই লিখেছিলেন – “প্রকাশ্যে বিজেপির সম্বন্ধে মন্তব্যে কেউ কেউ দুঃখ পাচ্ছেন। আমি নিজেই তো পাচ্ছি! কিন্তু উপায় নেই। যা বলার ছিল গোপনে বহুবার বলা হয়েছে। কোনও লাভ হয়নি। আমার বয়স হল বা কি হল, বেঁচে আছি নাকি মরে গেছি, তাতে কারও কিছু আসে যায় না। বাঙালি হিন্দুর যে সর্বনাশ হতে চলেছে সেটাই বিবেচ্য।”
প্রসঙ্গত, তথাগত রায় এই প্রথম মুখ খুলছেন না। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই লাগাতার আক্রমণ করে গিয়েছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। কখনও তাঁর নিশানায় দিলীপ ঘোষ, আবার কখনও কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
পুরভোটে ভরাডুবির জন্য দায়ী করেছিলেন দলের ‘অসৎ-লম্পট চক্র’কে। আক্ষেপ করে ট্যুইট করেছিলেন – “শতাংশের হিসেবে তৃতীয় স্থানে নেমে যাওয়া কোনো নতুন ঘটনা নয়। বিধানসভা নির্বাচনে যে বিপর্যয় হয়েছিল এটা তারই প্রসারণ। যদি দল তার পরে আত্মানুসন্ধান করত এবং যে অসৎ-লম্পট চক্র এর জন্য দায়ী তাকে নির্মমভাবে অপসারণ করত তাহলে কর্মীরা উজ্জীবিত হত, পুরসভার ফল এর চেয়ে অনেক ভাল হতে পারত।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন