সোমবার সন্দেশখালি গেছিল রাজ্য মহিলা কমিশনের এক প্রতিনিধিদল। তার একদিন পরেই মঙ্গলবার সকালে সন্দেশখালি পৌঁছালেন জাতীয় মহিলা কমিশনের (NCW) প্রতিনিধিরা। এদিন সকালে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল সন্দেশখালিতে পৌঁছে গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এর আগে সন্ত্রস্ত সন্দেশখালি পরিদর্শনে সোমবার সেখান যায় রাজ্য মহিলা কমিশন। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর কমিশনের চেয়্যারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানান, সন্দেশখালিতে তাঁরা এমন কোনও মহিলাকে পাননি যিনি শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন। তবে মহিলাদের রাতে ডেকে নিয়ে গিয়ে বাড়ির কাজ করানো হত বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা মেনে নিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সন্দেশখালির মহিলারা রাস্তায় নেমে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, শিবপ্রসাদ হাজরা ও উত্তমের বাহিনীর বিরুদ্ধে। গ্রামের মহিলাদের অভিযোগ, এলাকায় মহিলাদের ওপর অত্যাচার চালাতো এদের বাহিনী। গ্রামের মহিলাদের রাতে তাঁদের বাড়িতে ডেকে পাঠানো হত। না গেলে দেওয়া হয় হুমকি। শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের এই দাপুটে নেতাদের বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, এই আবহে গতকালই সাংবাদিক সম্মেলন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি মন্তব্য করেন, সন্দেশখালির ঘটনা গোটা দেশের জানা উচিত। এছাড়াও তাঁর অভিযোগ, হিন্দু বিবাহিত মহিলাদের সম্মানহানি করেছে শাহজাহান বাহিনী।
অন্যদিকে, সন্দেশখালির মহিলাদের অভিযোগের তদন্ত করতে আজই গ্রামে পৌঁছান ডিআইজি সিআইডি সোমা দাস মিত্র। এবং তাঁর সঙ্গে আসেন আরও এক ডিআইজি পদমর্যাদার আইপিএস আধিকারিক দেবস্মিতা দাসও। মঙ্গলবারই ঘটনার তদন্তের জন্য গঠিত হল ১০ জনের তদন্ত কমিটি। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন তারা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন