শনিবার বন্যা দূর্গতদের জন্য ত্রাণ নিয়ে মালদার মানিকচক ব্লকের ভুতনিচরে গিয়েছিলেন রাজ্যের পুরো নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু সেই ত্রাণ দেওয়ার আগেই লুঠের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন যাঁরা ত্রাণ বিলি করার দায়িত্বে ছিলেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
শনিবার মালদার মানিকচক ব্লকে বন্যা পরিদর্শনে যান কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানে গিয়ে তিনি পরিস্থিতি পরিদর্শন করে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ‘‘এখানে বন্যাপরিস্থিতি ভয়াবহ। গঙ্গার ভাঙনে একটি দিক বিধ্বস্ত হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতা এবং টানা বর্ষণে ভাঙন রোধের কাজ আমরা করতে পারিনি। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির জেরে হু হু করে জল বেড়েছে গঙ্গায়। বন্যাকবলিত মালদহের মানিকচক এবং ভুতনিচরবাসীর পাশে আমরা আছি।’’
এরপর নিজের ফোন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা শোনান বন্যা বিধ্বস্তদের। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বার্তায় বলেন, ‘‘আমাদের সরকার আপনাদের সর্বতোভাবে সাহায্য করবে। আমি আজ ফিরহাদকে পাঠিয়েছি। তা ছাড়া আপনাদের যে কোনও সমস্যার কথা জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে জানান।’’ বানভাসিরা যাতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হন, পর্যাপ্ত ত্রাণ পান, তার জন্য মমতা নির্দেশ দেন জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে।
এরপরেই মন্ত্রী জানান, ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মানুষদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু মন্ত্রী এলাকা ছাড়তেই শুরু হয় হুটোপুটি। অভিযোগ, ত্রাণ বিলি হওয়ার আগেই সেগুলো লুট করেন কয়েক জন। সামলানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন যাঁরা ত্রাণ বিলি করার দায়িত্বে ছিলেন। বৃষ্টির মধ্যে কেউ কেউ লরিতে উঠে ত্রাণের জিনিস নিয়ে পালিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করে ভিড় বেড়ে যায়। ত্রাণের জন্য সবাই হাত বাড়াতে থাকেন। তার মধ্যে অনেকে ত্রাণ পাননি। তাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। কেউ কেউ ত্রাণ নিতে এসে বৃষ্টিতে ভিজে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যান। এ নিয়ে প্রশাসনের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন