একের পর এক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি ঘিরে উত্তাল রাজ্য পরিস্থিতি। স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকে শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষক, মাদ্রাসা, দমকল, নার্সিং সবেতেই দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এবার এই সবকিছুর বিরুদ্ধে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করলেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জী।
চাকরিতে দুর্নীতি এবং বেনিয়মের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে একের পর এক মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার জেরে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। শুধু তাই নয়, শাসক দলের মন্ত্রী থেকে শুরু করে নেতা এবং কর্মী অনেকেরই নাম জড়িয়েছে দুর্নীতিতে।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে মীনাক্ষী মুখার্জী বলেছেন, "সরকার যদি মনে করত, চাকরি বিক্রি না করে মেধার ভিত্তিতে যুব সমাজকে চাকরি দিতে পারত। যোগ্যতার নিরিখে সরকার চাকরি দিতে চায়নি। বরং বিক্রি করতে চেয়েছে, তাই মানুষ কিনেছে। (রাজ্য) সরকার চাকরি বেচার দোকান খুলে রেখেছে।"
তিনি আরও জানিয়েছেন, "সরকার যদি চাইতো, স্থায়ী চাকরি দেওয়ার জন্য, তাহলে স্থায়ী চাকরি হত। সরকার চাইলে কলকারখানা খুলত। সরকার যদি চাইতো ঠিকাতে নিয়োগ না করে স্থায়ী চাকরি দেবে, তাহলে ঠিকাতে নিয়োগ হত না। সরকার যদি চাইতো সঠিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করবে, তাহলে মামলা হত না। সরকার চাকরি কেনার লোক এবং বেচার লোক, দুটোই ঠিক করে রেখেছে। সরকার যা চাইছে তাই হচ্ছে।"
প্রতিশ্রুতি পূরণের প্রসঙ্গে তুলে মীনাক্ষী বলেছেন, "সরকার চেয়েছে যুব সমাজ রাস্তায় নামবে। মেধাকে রাস্তায় বসিয়ে সরকার যা চাইছে তাই করছে। সেই কারণেই এত কিছু হচ্ছে। সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি যা ছিল, তা পূরণ করেনি। যা মুখে বলেছিল, তা করেনি। আর সেই জন্য আন্দোলন করতে হবে।"
এর পাশাপাশি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যু প্রসঙ্গে তৃণমূলকে এক হাত নিয়েছেন মীনাক্ষী। তাঁর বক্তব্য, "আনিস খান কাণ্ডে সরকার সহজে ছাড় পাবে না।"
যেখানে চাকরি সংক্রান্ত মামলা থেকে শুরু করে গরু পাচার, কয়লা পাচার, বালি পাচারকাণ্ডে নাম জড়াচ্ছে রাজ্যের শাসক দলের, সেখানে বাম যুব নেত্রীর মন্তব্য কার্যতই অস্বস্তিতে ফেলছে তৃণমলকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন