যেসব এলাকায় আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপির জেতার সম্ভাবনা রয়েছে সেই সব এলাকায় নতুন মন্ত্রীত্ব দিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার বহরমপুরে দলীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ইস্তফা দেওয়ার মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদীর ব্যর্থতা স্বীকার করে নেওয়া। কবে লকডাউন হবে, কবে ভ্যাকসিন আসবে এগুলো স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিছুই করেননি। যা কিছু করেছেন তা মোদী করেছেন। তাই প্রকৃত অর্থে পদত্যাগ করার নৈতিক দায়িত্ব যদি কাউকে নিতে হয় তার দায়িত্ব নরেন্দ্র মোদীর নেওয়া উচিৎ বলে জানান কংগ্রেস সাংসদ।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে মোদি সরকার ব্যর্থ। তার দায়ভার ঝেড়ে ফেলতেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষবর্ধনের পদত্যাগ বলে জানান তিনি। অধীরের মতে, স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলির পাঁঠা করা হলো। প্রধানমন্ত্রী উচিত পদত্যাগ করা। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই মন্তব্য করলেন বহরমপুরের সংসদ অধীর চৌধুরী।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে নতুন চারজনকে মন্ত্রী করা নিয়ে অধীর বলেন, উত্তরবঙ্গ যেহেতু বিজেপিকে ভোট দিয়েছে সেই বাজার ভোটের বাজার ধরে রাখতেই এই কৌশল। পাশাপাশি তিনি বলেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সঠিক হলে তো মানবাধিকার কমিশন আসতো না। মানবাধিকার কমিশন আসা মানে রাজ্যের ভাবমূর্তি দেশের কাছে খারাপ হওয়া। রাজ্যের উচিত সকলের জন্য সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। তাহলে মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ কেউ হবেনা, মানবাধিকার কমিশনের দরকার পড়বে না।
বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী জানান, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া স্রোতের সঙ্গে বিজেপি তথা আরএসএস এর প্রকৃত যারা তাদের স্রোতের মধ্যে দ্বন্দ্ব হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন