শিক্ষক নিয়োগের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি ২০১৩ সালে, মাদ্রাসায় শূন্যপদ প্রায় ১০,০০০

২৬শে মে অর্থাৎ আজ নিয়োগের দাবী সামনে রেখে বিকাশ ভবন অভিযান করবেন মাদ্রাসা চাকরীপ্রার্থীরা। রাজ্য জুড়ে স্কুল-কলেজে প্রার্থী নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির ঘটনা সবার সামনে এসেছে।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকী
Published on

প্রায় ৫৫০০ জন ছাত্রছাত্রী, আর শিক্ষক মাত্র ৬৯ জন। অর্থাৎ রোজ প্রতি শিক্ষককে মাথাপিছু প্রায় ৮০ জন ছাত্রছাত্রীর পড়ানোর ভার পড়ে। সুজাপুর নৈমোজা হাই মাদ্রাসা স্কুলের ছবিটা এইরকমই। শুধু এই মাদ্রাসা নয়, রাজ্যের অধিকাংশ মাদ্রাসারই এরকম অবস্থা।

সুজাপুর মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক, মহম্মদ আদিল হোসেন বলেন, ছাত্রছাত্রীর অনুপাতে শিক্ষকের সংখ্যা কম। হিসেব মতো ১২৫ জন শিক্ষক থাকার কথা। কিন্তু চারবছর ধরে কোন নতুন শিক্ষক নিয়োগ তো হয়ইনি। উল্টে বদলি হয়ে চলে গেছেন অনেক শিক্ষক। পাশাপাশি শূন্যপদও পূরণ হয়নি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায় ৫ বছর আগে শিক্ষক নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যা বাস্তবায়িত হয়নি। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের সমীক্ষা বলছে, প্রায় ২০০ টি মাদ্রাসায় তারা সমীক্ষা করে দেখেছেন, অঙ্ক বিষয়ের ৮০টি পদ খালি রয়েছে।

উল্লেখ্য, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের তরফে ২০১৩ সালে শেষবারের মতো শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই সময় শূন্যপদ ছিল ৩১৮৩ টি। ২০১৬ সালে এই পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হয়, আর নিয়োগ হয় আরও দুবছর পরে ২০১৮-তে। ততদিনে এই শূন্যপদের সংখ্যা বেড়ে ৭০০০ হয়েছিল, এখন তা ১০০০০ এর ও বেশি। সূত্রের খবর সেইবছর নতুন শিক্ষক নিয়োগ হয় মাত্র ২০০০ জন। যদিও মাদ্রাসা কমিশন বা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এই বিষয়ে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

তবে এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন তোলেন প্রার্থীরা। এই প্রসঙ্গে, ২০১০ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন গেজেট রুল প্রকাশ করে তাতে বলা হয়, শূন্যপদ আপডেট হবে ও তারপর আবার পুনঃনিয়োগ হবে। কিন্তু এই ঘটনার কোন সুরাহা হয়নি, নতুন নিয়োগও হয়নি। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফের থেকেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে, কমিশনের তরফে দাবী কোন শূন্যপদ নেই।

মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টিকে সরকার তরফে ন্যূনতম গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ঈদের দিনও চাকরিপ্রার্থীরা অবস্থান বিক্ষোভ করে পুলিশের আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন। ২৬শে মে অর্থাৎ আজ নিয়োগের দাবী সামনে রেখে বিকাশ ভবন অভিযান করবেন মাদ্রাসা চাকরীপ্রার্থীরা।

ইতিমধ্যেই স্কুল-কলেজের নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির ঘটনা সামনে এসেছে। সারা রাজ্যজুড়ে প্রায় ১৬ লক্ষেরও বেশি ছেলে-মেয়ে বি.এড পাস করে বসে আছেন শিক্ষক হবার আশা নিয়ে। সে আশা কি আশা হয়েই থেকে যাবে!

ছবি - প্রতীকী
WB: অবিশ্বাস্য! টেন্ডার ডেকে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করছে রাজ্য সরকার

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in