পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে সিপিআইএম-র মিছিলে পরিকল্পিতভাবে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ এনে বিবৃতি দিয়েছে বামফ্রন্ট। মঙ্গলবার সেই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বামফ্রন্ট পুলিশের বর্বরোচিত হিংস্র আক্রমণের তীব্র নিন্দা করছে। আবাস যোজনায় দুর্নীতির প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলের উপর আক্রমণে যুক্ত থাকা আধিকারিক ও পুলিশ কর্মীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করা হচ্ছে। পাশাপাশি আবাস যোজনাতে প্রকৃত গরিব মানুষের নাম অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হচ্ছে’।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ‘বিডিও এবং তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির উপস্থিতিতেই পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর আক্রমণ করে। নিজের ঘর চাওয়ার অপরাধে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী ইটভাটার শ্রমিক পরিবারের গৃহবধূ দিনমজুর আরজুনা বিবিকে চুলের মুঠি ধরে বিবস্ত্র করে পুলিশ নির্বিচারে পিটিয়েছে’।
শুধু তাই নয় কর্মসূচী সমাপ্ত হয়ে যাওয়ার পরেও নন্দকুমারে থানার ওসি সহ পুলিশ বাহিনী সিপিআই(এম) অফিসে ঢুকে চেয়ার, টেবিল তুলে পার্টি কর্মীদের মারধর করে। আরজুনা বিবি সহ গ্রেপ্তার হওয়া অন্যদের ওপর থানাতেও অত্যাচার চালানো হয়। আরজুনা বিবিও অসুস্থ পড়েন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর আবাস যোজনায় অযোগ্যদের নাম বাদ দিয়ে যোগ্যদের নাম তোলার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন সিপিআইএম কর্মীরা। বিডিও ডেপুটেশন নিতে রাজি না হওয়ায় বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যার পরও চলছিল বিক্ষোভ। অভিযোগ, আচমকা সেই বিক্ষোভের উপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। স্থানীয় সিপিআইএম নেতৃত্ব জানিয়েছিলেন, ওই ঘটনায় প্রায় ২৫ জন আহত হয়। মাথা ফাটে একাধিক জনের।
কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জের ভিডিও পিপলস রিপোর্টারের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে দর্শকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হয়। সেই ভিডিওতেই দেখা যায় এক মহিলাকে (আরজুনা বিবি) বিবস্ত্র করে চুলের মুঠি ধরে মারছেন এক মহিলা পুলিশ কর্মী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন