নন্দীগ্রামে একাধিক মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীদের ইচ্ছাকৃত ভাবে ছেড়ে রেখেছে পুলিশ। এমনই অভিযোগ করা হচ্ছে বামেদের পক্ষ থেকে। পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা।
২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক পালাবদলে নন্দীগ্রামের ভূমিকা ঠিক কতটা তা সকলেরই জানা। সেই নন্দীগ্রামেই তৃণমূল ও বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীদের অনেকেই নাকি অপরাধী। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এই অভিযোগেই সরব হয়েছে বামেরা।
স্থানীয় বাম নেতৃত্বের অভিযোগ, নন্দীগ্রামে ভূমি আন্দোলনের সময় ও পরে বামপন্থীদের ওপর অত্যাচার করা, খুন করার নেতৃত্বে যারা ছিল তারাই এখন তৃণমূল ও বিজেপির নেতা। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য তারা টিকিটও পেয়েছে। যাতে মানুষের মধ্যে ভয়ের সৃষ্টি করে ভোট লুঠ করতে পারে। পুলিশও কিছু বলছে না আর নির্বাচন কমিশনও চুপ।
পূর্ব মেদিনীপুরের সিপিআইএম-র জেলা সম্পাদক বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে আঁতাত আছে। সেটা আবারও প্রমাণ হলো। নাহলে যাদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে তারা নির্বাচনের টিকিট নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেরাতে পারতো না। পূর্ব মেদিনীপুরের ডিএসপি এবং নন্দীগ্রামের আইসিকেও বলেও কোনো লাভ হয়নি।
সূত্রের খবর, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী শেখ সাহাবুদ্দিন ও জেলা পরিষদের প্রার্থী শেখ সামসুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। এছাড়া বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী স্বদেশরঞ্জন দাস অধিকারীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে এই সকল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল হলদিয়া মহকুমা আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে গেলে কেবল মমতা ব্যানার্জির নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের গ্রেফতারি পরোয়ানায় স্থগিতাদেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন