উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, সর্বত্র বামেদের জয়জয়কার। উত্তর দিনাজপুর থেকে হুগলী সমবায় ও ব্লক প্রাথমিক শিক্ষক কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাচনে বামেদের বিরুদ্ধে তৃণমূল খাতাই খুলতে পারলো না। পঞ্চায়েতের আগে যা অস্বস্তিতে ফেলেছে শাসক দলকে।
বিগত কিছু সমবায় সমিতির নির্বাচন দেখলে একটাই প্রশ্ন উঠে আসছে। রাজ্যে ফের কি হারানো জমি ফিরে পাচ্ছে বামেরা? রবিবারের ফলাফলে সেই উত্তর আরও জোরালো হলো। উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে ব্লক প্রাথমিক শিক্ষক কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাচনে ৯টি আসনের মধ্যে সবক'টিতেই জয় লাভ করেছে এবিটিএ নেতৃত্বাধীন বাম প্রগতিশীল শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ। তৃণমূল শিক্ষক সমিতি একটিও আসন জিততে পারেনি। বামেদের অভিযোগ, নির্বাচনের প্রথম থেকেই অশান্তি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল তৃণমূলের অনুগামীরা।
তাদের আরও অভিযোগ, গণনার সময়ও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা ব্যালট বক্স লুঠ করার চেষ্টা করে। সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখে সেই কাজ করতে ব্যর্থ হয় তারা। উপায় না পেয়ে সাংবাদিক ও বামপন্থী শিক্ষকদের ওপর ইট ছুঁড়তে থাকে। ইটের আঘাতে এক সাংবাদিক জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে হুগলীতে কর্মচারী সমবায় সমিতির নির্বাচনেও বামপন্থী ইউনিয়ন তৃণমূলকে পরাস্ত করেছে। হুগলী ডিস্ট্রিক্ট সেটেলমেন্ট এমপ্লয়িজ কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের বোর্ড অফ ডিরেক্টর নির্বাচন হয়। আসন সংখ্যা ১২টি। মোট ভোটার ৩৯৬ জন। ভোট দিয়েছেন ৩২৭ জন। নির্বাচনে যৌথ ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির অন্তর্ভুক্ত পশ্চিমবঙ্গ সেটেলমেন্ট কর্মচারী এবং পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ভূমি সংস্কার কর্মচারী সমিতির কর্মীরা।
উল্লেখ্য, বামেদের অভিযোগ, ২০১৭ সালেও এই নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু ওই বছরও ১২টি আসনের মধ্যে সবক'টিতেই জয় লাভ করেছিল বামপন্থী কর্মচারীরা। এবারেও সমস্ত আসন ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন