দীর্ঘ ২০ বছর পর ইছাপুর মেটাল অ্যান্ড স্টিল ফ্যাক্টরির ওয়ার্কার্স কমিটির নির্বাচনে জয়লাভ করল বামেরা। ১০টি আসনের মধ্যে ৭টি আসনেই জয়লাভ করেছে ইছাপুর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি মজদুর ইউনিয়ন। বাকি তিনটি আসনে জয়লাভ করেছে আইএনটিইউসি প্রার্থীরা। তবে, বিজেপি এবং তৃণমূল অনুমোদিত ইউনিয়নগুলি একটি আসনেও জয়লাভ করতে পারেনি।
গত ১০ জুন ইছাপুর মেটাল অ্যান্ড স্টিল ফ্যাক্টরির ওয়ার্কার্স কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ইছাপুর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি মজদুর ইউনিয়নের যে ৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন তাঁরা হলেন - দেবজ্যোতি বসু, দীপকতারণ গুঁই, মনোজ সিং, বিপুল সাহা, শুভজিৎ সেন এবং ঠাকুরচন্দ্র বিশ্বাস ও বিবেকানন্দ দাস।
নির্বাচনে জয়লাভ করার পর ইছাপুর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির সাধারণ সম্পাদক দেবজ্যোতি বসু বলেন, এই জয় প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে শ্রমিক এবং কর্মচারীদের রায়। কেন্দ্রের মোদী সরকার ৪১টা অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি দেশ-বিদেশের কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই করছে ইছাপুর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি মজদুর ইউনিয়ন। আগামী দিনে এই লড়াই যাতে আরও জোরদার হয়, শ্রমিক এবং কর্মচারীরা মজদুর ইউনিয়নকে সেই দায়িত্ব দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আইএনটিইউসি ভেঙে পার্মানেন্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন তৈরী হয়। সেই ইউনিয়ন কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করায় নির্বাচনের ভোট গণনার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত। যার ফলে নির্বাচন হলেও থেমে থাকে ভোট গণনা। এই ঘটনার জেরে আদালতে পাল্টা মামলা দায়ের করে ইছাপুর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি মজদুর ইউনিয়ন।
বিশিষ্ট আইনজীবী তথা সিপিআই(এম) সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির হয়ে মামলাটি লড়েন। গত বৃহস্পতিবার আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করে জানায়, ভোটগণনা এবং ফলাফল ঘোষণা করা যাবে। আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতেই গত সোমবার নির্বাচনের ভোট গণনা হয়। ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর লাল আবির মেখে, লাল ঝান্ডা নিয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন