করোনা আবহে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষাই হয়নি। শুধু মাধ্যমিক না হওয়াতেই প্রায় ১০ কোটি টাকা জলে গেল রাজ্যের! মাধ্যমিকের মতো পরীক্ষা সুসম্পন্ন করতে খরচ হয় কয়েক কোটি টাকা। ছাপা হয় কয়েক লক্ষ প্রশ্নপত্র। আপাতত এবারের প্রশ্নপত্রে আর কোনও কাজ হবে না। শুধু ছাপা নয়, সেই প্রশ্ন গন্তব্যে পাঠানো এবং সেখান থেকে ফেরত আনার বিপুল খরচ রয়েছে।
বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে প্রশ্নপত্র ছাপানোর পর তা পাঠানো হয় জেলাগুলিতে। উত্তরপত্রও ছাপানো সম্পূর্ণ করে পাঠানো হয়েছিল। শিক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘মাধ্যমিক পরীক্ষা আয়োজনের জন্য বিপুল টাকা খরচ করতে হয় সরকারকে। এবারও মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য সব প্রস্তুত ছিল। তার জন্য সরকারের কোষাগার থেকে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।’
মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গত ফেব্রুয়ারি মাস নির্দিষ্ট ছিল। কিন্তু তখন সরকার পরীক্ষা নিতে চায়নি। তারপর পাঠ্যসূচি কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত জুন মাসে মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ৪০ নম্বরের পরীক্ষা ও তার জন্য দেড় ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষক সংগঠনও মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল।
পরীক্ষার্থীর সংখ্যার থেকে ন্যূনতম ১৫ শতাংশ বেশি ছাপানো হয় প্রশ্নপত্র। গোটা দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রশ্নপত্র তৈরি করে আনার খরচও বেশি। ছাপানো প্রশ্নপত্র বিভিন্ন জেলার প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রের নিকটস্থ সরকারি সুরক্ষিত স্থানে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই নিয়ম মেনে পৌঁছে যায়। সেই দায়িত্ব থাকে ডাক বিভাগের। এবার সেই কাজও করা হয়ে গিয়েছিল। তার জন্য ডাক বিভাগকে ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা দিতে হয়েছে। এরপর আলাদাভাবে উত্তরপত্র পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন