সিপিআই(এম)-র যুব শাখার রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে গত বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তাই তাঁকে এখনও জেল খাটতে হচ্ছে। এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন প্রবীণ বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
আনিস-কাণ্ডের প্রতিবাদে নেমে ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ গ্রেফতার হন ১৬ জন। তার প্রেক্ষিতে সুজনের এই আক্রমণ। কেন মীনাক্ষীকে এতদিন আটকে রাখা হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোকে একহাত নিলেন তিনি।
সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'সিপিএমের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে আটকে রাখা হয়েছে জেলে। কারণ, তিনি নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। তাই তাঁকে জেলে থাকতে হচ্ছে। খুনিরা বাইরে ঘুরছে, আর প্রতিবাদ করে জেল খাটছে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়!
প্রসঙ্গত, আনিসের রহস্যমৃত্যুর বিচার চেয়ে দোষীদের শাস্তির দাবিতে বাম ছাত্র-যুবরা গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করেন। সেই কর্মসূচিকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। পাঁচলার পানিহাটিতে এই ঘটনা ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হবে সুপারের অফিসের সামনেই। প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বামপন্থী ছাত্র-যুবরা।
অভিযোগ, ইটবৃষ্টি হয়। তাতে পুলিশকর্মীরা জখম হন। এরপর পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। শুরু হয় ধরপাকড়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতেই ঘটনাস্থলে আসে দক্ষিণবঙ্গের ডিআইজি সিদ্ধিনাথ গুপ্ত। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ কয়েকজনকে আটক করা হয়, পরে তাঁদের গ্রেফতারও করা হয়। সেদিন থেকে মীনাক্ষী জেল হেফাজতে আছেন। তাঁকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ সুজনের।
ফেসবুক পেজে সুজন বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে মীনাক্ষীকে। মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। তাই তিনি আনিসকাণ্ডে খুনিদের বাইরে রেখে প্রতিবাদীদের জেলে ভরছেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মীনাক্ষী নন্দীগ্রামে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তাই কি তাঁর এই শাস্তি? অথচ মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন বিধানসভা ভাঙচুর-সহ নানা অপরাধ করছেন। তাঁকে কখনও জেলে যেতে হয়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন