মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের অন্য ভিআইপিদের জন্য ১০ আসনের একটি বিমান ভাড়া নিল রাজ্য। নবান্নের একটি সূত্র জানিয়েছে, ফ্রান্সের জেসল্ট সংস্থার তৈরি দুই ইঞ্জিনের এই ফ্যালকন বিমানের জন্য মাসে কমপক্ষে সওয়া দু’কোটি টাকা খরচ হবে রাজ্যের। আগামী দিন তিনেকের মধ্যে সেটি রাজ্যে পৌঁছে যাবে। সেপ্টেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী সেই বিমানেই উত্তরবঙ্গ সফরে যাবেন বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।
দিল্লির যে সংস্থার সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক বিমানটি ভাড়া নেওয়া হয়েছে, তাতে বলা আছে, প্রতি মাসে অন্তত ৪৫ ঘণ্টা ওড়ার টাকা দিতে হবে। প্রতি ঘণ্টায় খরচ প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা। কোনও মাসে বিমান ৪৫ ঘণ্টার কম উড়লেও একই খরচ করতে হবে। বেশি উড়লে ঘণ্টা প্রতি আরও পাঁচ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা। ওই বিমানের সঙ্গেই আসবেন দু’জন পাইলট, একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং বিমানসেবক। তাঁরা তিন বছর শহরের পাঁচতারা হোটেলে থাকবেন। চুক্তির অংকেই তাঁদের খরচও ধরা থাকবে। বিমানটি তিন বছর কলকাতা বিমানবন্দরে থাকবে।
হঠাৎ চুক্তিভিত্তিক বিমান ভাড়া নেওয়ার কারণ? নবান্ন সূত্রের খবর, কেন্দ্রের মোদি বিরোধী প্রধান মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে বিভিন্ন রাজ্যের বিরোধী নেতানেত্রীদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলা তাঁর অন্যতম কর্তব্যের তালিকাভুক্ত হয়েছে। মাঝেমধ্যেই তাঁকে বিভিন্ন রাজ্যে যেতেও হতে পারে। অনেক রাজ্যেই কলকাতা থেকে সরাসরি যাওয়া যায় না। সে-ক্ষেত্রে এই ভাড়ার বিমান কার্যকর হবে।
অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ব্যক্তিগত বিমান ব্যবহার করেন। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী ১২ আসনের বম্বার্ডিয়ার বিমান, তার আগে গুজরাত সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর জন্য ২০ বছর ধরে বিচক্রাফ্ট বিমানের ব্যবস্থা ছিল। মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরাও নিজস্ব বিমান ব্যবহার করেন। রতন টাটা, মুকেশ অম্বানি, গোয়েনকাদের মতো শিল্পপতিরা নিজস্ব বিমান ব্যবহার করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন