সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। প্রাণ সংশয়ের অভিযোগ তোলেন সুকান্ত মজুমদার। এই অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিক-সহ পাঁচ প্রশাসনিক কর্তাকে ডেকে পাঠিয়েছিল লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি (প্রিভিলেজ কমিটি)। কমিটির সেই তলবের উপর স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে মাঝরাস্তায় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের। এরপরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সাংসদ। প্রথমে তাঁকে বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে কলকাতাতে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপরেই পুলিশের বিরুদ্ধে প্রাণ সংশয়ের অভিযোগ তোলেন তিনি।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিক, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী, বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান এবং বসিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষকে তলব করেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ তাঁদের হাজিরা হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
তার আগেই এদিন সকালে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যসচিব। সোমবার বিষয়টিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তারপরেই স্থগিতাদেশ জারি করে শীর্ষ আদালত। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, রাজ্য আর পাঁচ প্রশাসনিক কর্তা এই তলবে হাজিরা দেবেন কিনা তা নিয়ে প্রথম থেকেই সংশয় ছিল। সোমবার মুখ্যসচিব সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হওয়ার পর নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, রাজীব কুমার কমিটির তলবে সাড়া দেবেন না। সে কথা তিনি চিঠি দিয়ে লোকসভার সচিবালয়কে জানিয়েও দিয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন