একদিকে, হাথরস ও হাঁসখালির ঘটনায় কোনও পার্থক্য নেই। অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশ ও এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে কোনও ফারাক নেই। শুক্রবার বিধান ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে এমনই দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর মতে, দুই ক্ষেত্রেই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানদের ভূমিকা একই।
অধীরের অভিযোগ, হাথরসে ধর্ষণের পর নির্যাতিতাকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। আর হাঁসখালির ঘটনাও প্রায় একই। বাংলার মানুষের পুলিশ প্রশাসনকে ভরসা করেন না। তাই সবক্ষেত্রেই সিবিআইকেই সবাই ভরসা করছেন। রাজ্যের সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এভাবেই কটাক্ষ করলেন প্রদেশ সভাপতি।
একইসঙ্গে সেই পুরনো অভিযোগ তুলে আনলেন অধীর। তাঁর দাবি, বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে গোপন আঁতাঁত রয়েছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরোক্ষে কংগ্রেসমুক্ত ভারত গড়তে মোদীকে সাহায্য করছেন। বাংলার বাইরে সংগঠন না থাকলেও, টাকা দিয়ে তৃণমূল সংগঠন তৈরি করে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। কংগ্রেসের ভোট ভাগ করা হচ্ছে। গোয়া তার প্রত্যক্ষ উদাহরণ।
অধীর এদিন অভিযোগ করেন, রাজ্যে কর্মসংস্থান না হওয়ায়, সিন্ডিকেট ও তোলাবাজদের দাপট বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবং নিজেদের সংগঠনকে আরও মজবুত করতে, কংগ্রেস এ বার পথে নেমে রাজ্যের বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন