সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয়ের ৩ মাসের মধ্যেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বায়রন বিশ্বাস। এই দলবদলের ফলে আর এক বিরোধী বিধায়ক, ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই দাবি করছেন, এরপর শাসকদলের নিশানায় নওশাদ সিদ্দিকি। কিন্তু সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন নওশাদ।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস ২৩ হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থীকে। পঞ্চায়েতের আগে বিরোধী শিবিরে অক্সিজেন যুগিয়েছিল 'সাগরদিঘি মডেল'। সেই বায়রনই তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির নব জোয়ার কর্মসূচি চলাকালীন ঘাটালে গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এই যোগদান নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন সাগরদিঘির মানুষ। বায়রনকে 'মীরজাফর' অ্যাখ্যা দিয়েছেন সাগরদিঘির অধিকাংশ মানুষ। অধীর রঞ্জন চৌধুরী, মহম্মদ সেলিমের পাশাপাশি বায়রনের দলবদলের নিন্দা করেছেন নওশাদ সিদ্দিকিও।
নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, দলবদল মানে বিশ্বাসঘাতকতা করা। যে মানুষগুলোর ভোটে বায়রন জিতলেন, তাঁদের গুরুত্বই দিলেন না। এই ধরণের কাজ সত্যি দুর্ভাগ্যজনক। পাশাপাশি দলবদল নিয়েও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ভাঙড়ের বিধায়ক।
তিনি বলেন, আমার দলবদলের প্রশ্নই ওঠে না। আমি বিরোধী হিসেবে ভাঙড়ে জিতেছি। ভাঙড়ের মানুষ আমার ওপর বিশ্বাস করেই ভোট দিয়েছিলেন। আমি তাঁদের কোনোদিন ঠকাতে পারব না। আমি সব সময়ই অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। তৃণমূলের অত্যাচার, দুর্নীতি সবকিছুর বিরুদ্ধে আগেও প্রতিবাদ করেছি এখনও করছি আর ভবিষ্যতেও করবো। বিধানসভাতেও ভাঙড়ের মানুষের জন্য আওয়াজ তুলি। আমি ভাঙড়ের মানুষের বিশ্বাস ভাঙতে পারবো না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভাঙড়ে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী ছিলেন নওশাদ। সূত্রের খবর, নির্বাচনে জেতার পর থেকে বহুবার তৃণমূলে যোগদানের প্রস্তাব পেয়েছিলেন নওশাদ। কিন্তু তিনি যোগদান করেননি। ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম প্রায়ই নওশাদকে আক্রমণ করেন। ভাঙড়ে তৃণমূলের সংগঠন মজবুত করার জন্য ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন