ফের প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দলের ভিতরেই রয়েছে চোর-ডাকাত। বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূলকে নানাভাবে বিঁধছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে দলীয় বিধায়কের এহেন বক্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের অন্দরে অস্বস্তি বেড়েছে।
হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ছ’নম্বর ওয়ার্ডে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব এমন জায়গায় পৌঁছছে যে, সম্প্রতি দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। আহত হন অসিত মজুমদারের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত প্রেমজিৎ সাহা। তিনি চুঁচুড়া শহর যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি। এই পরিস্থিতি সামলাতে ময়দানে নামতে হয় পুলিশকেও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রেমজিতের সঙ্গে মূল বিবাদ স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ঝন্টু বিশ্বাসের। প্রেমজিতের অভিযোগ, বিধবা ভাতা পাইয়ে দেওয়ার নামে ঝন্টুর অনৈতিক কাজকর্মের প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। তাই তাঁর ওপর আক্রমণ করা হয়। অন্যদিকে, প্রেমজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নাকি বলেছিলেন, দাদাই অর্থাৎ বিধায়ক অসিত মজুমদারই সব, দিদি অর্থাৎ দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি কেউ নন। এতেই ক্ষুব্ধ হন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূলের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে অসিত মজুমদার বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘তৃণমূলে তো এখন ডাকাতও কর্মী, চোরও কর্মী। তাই বলে কি আমি ডাকাতকে বা চোরকে ছেড়ে দেব? প্রেমজিৎ সাহাকে মারধর করে কিছু দুর্বৃত্ত। সে এখন হাসপাতালে ভর্তি। আমি রবীন্দ্রনগর, ব্যান্ডেলের মতো জায়গাকে শান্ত করেছি। আর বালির মোড়ের মতো জায়গায় উচ্ছৃঙ্খলতা হবে, মারধোর করা হবে, তা তো হতে পারে না।’
এদিকে, বৃহস্পতিবারই চুঁচুড়ায় বিজেপির একটি মিছিলে যোগ দেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখানে সুকান্ত বলেন, ‘এই চোর, ডাকাতদের দিয়েই তৃণমূল ভোট করায়। খুন, ধর্ষণ করে। এই সব কথায় বাজার গরম করা ছাড়া আর কিছু হয় না। চোর, ডাকাতরা কেউ ধরা পড়ে না।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন