বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ার পর অনেক দলবদলু নেতাই ঘর ওয়াপসি চাইছেন। গতকালই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সপুত্র মুকুল রায়। তিনি অবশ্য দলবদলুদের মধ্যে পড়েন না। কারণ তিনি ২০১৭ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। প্রায় চার বছর পর ঘরে ফিরলেন তিনি। তারপরই বিজেপির একাধিক নেতা দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর।
বীরভূমের দুই প্রাক্তন বিধায়ক মণিরুল ইসলাম এবং গদাধর হাজরা তৃণমূলে ফেরার জন্য দলীয় স্তরে যোগাযোগ করছেন। তাঁরা মুকুল ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। এছাড়াও বীরভূমে বিজেপির জেলা কমিটি এবং রাজ্য কমিটির সদস্যদের অনেকেই তৃণমূলে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে তাঁরা অনুব্রত মণ্ডলের হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে ফের তৃণমূলে যোগ দেবেন।
মুকুলের পর বিজেপি ছাড়ার সারিতে প্রথমে রয়েছেন মণিরুল ইসলাম, তাঁর ছেলে আসিফ ইকবাল, গদাধর হাজরা এবং বিদ্যুৎ চট্টোপাধ্যায়-সহ একাধিক বিজেপি নেতা। ২০১৯-এ লোকসভা ভোটের পর মুকুল রায়ের হাত ধরে সরাসরি দিল্লি অফিসে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মনিরুল ইসলাম এবং তাঁর ছেলে আসিফ ইকবাল, গদাধর হাজরা। সেই সময় অভিযোগ উঠেছিল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে না জানিয়ে এই যোগদান হয়েছে। তারপর থেকে মণিরুল এবং গদাধর কার্যত কোণঠাসা। অসিফ ইকবালকে পরে রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার স্থায়ী সদস্য হন।
২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি থেকে নানুর বিধানসভায় গদাধর হাজরা এবং লাভপুর বিধানসভায় মণিরুল ইসলাম তাঁর ছেলে আসিফের জন্য টিকিট চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু বিজেপি টিকিট দেয়নি। তারপরেই মণিরুল নির্দল প্রার্থী হিসাবে লাভপুর কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। গদাধর হাজরা জানিয়েছেন, 'মুকুল রায় ফিরেছেন, ভালো খবর। আমার নেতা অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরেই ফের তৃণমূলে ফিরতে চাই।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন