বন্যার ত্রাণে দুর্নীতির অভিযোগ এনে মশালদহ গ্রামপঞ্চায়েতের কংগ্রেস কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ ২০১৭ সালের বন্যার ত্রাণের টাকা লুঠ করেছে তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা নাগাদ কড়িয়ালি বাজারে রাস্তায় প্রায় তিন শতাধিক কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন। তাঁদের সাথে যোগ দেন বঞ্চিত উপভোক্তারাও। তাঁরা অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালে যাঁরা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত তাঁদেরকে ত্রাণের টাকা দেওয়া হয়নি। তাঁরা বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। এই দুর্নীতির সাথে যুক্ত আছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যেরা।
তাঁরা এও বলেন, ঐ নেতাদের এবং কিছু সরকারি কর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৭০ হাজার করে একাধিকবার টাকা ঢুকেছে। এমনকি বিহারে তৃনমূল নেতাদের আত্মীয়ের একাউন্টেও সেই টাকা ঢুকেছে বলে অভিযোগ জানান তাঁরা। সূত্রের খবর, ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে সরকারি দপ্তরে ৪০ বার RTI করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি তাতে। এই নিয়ে আদালতে মামলা দায়েরও হয়।
এক বঞ্চিত উপভোক্তা বলেন, অনেক টাকা-পয়সা এসেছে। কিন্তু একটা পলিথিন পর্যন্ত পাইনি। বহুবার টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেয় নেতারা কিন্তু কেউ টাকা দেয়নি। এই দুর্নীতির সাথে বিডিও যুক্ত আছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে বাম-কংগ্রেসের চাপে পড়ে বিডিও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর নামের তালিকা দিতে বাধ্য হয়। তাতেও দেখা যায় বিভিন্ন অসঙ্গতি। ঐ তালিকা থেকে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্ট ও IFSC কোড নম্বর মুছে দেওয়া হয়। বিডিওর দেওয়া ৯০৩ পাতার তালিকায় দেখা যায় পঞ্চায়েত সমিতির ২৬ জন সদস্য ও তার পরিবারের নামে একাধিক বার টাকা ঢুকেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের ৯ টি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৪৩ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সত্তর হাজার করে টাকা দেওয়ার জন্য তিন ধাপে প্রায় ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন