কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এবং রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ফের সরব হলেন ডিওয়াইএফআই (DYFI) রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি।
মঙ্গলবার, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে নন্দীগ্রাম - ১ লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিল এবং সমাবেশের আয়োজন করেছিল বামেরা। মূল বক্তা হিসেবে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাম যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি। এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল শুরু হওয়ার পর নন্দীগ্রাম বাজার, বিডিও অফিস হয়ে মিছিল আবার নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে ফিরে আসে। সেখানেই সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, "একমাত্র আমরা ডিওয়াইএফআই কর্মীরাই আমাদের শহীদদেরকে আমাদের পিঠের মেরুদণ্ড, কোমরের মাজা এবং মাথার অহংকার বলে মনে করি। আর সেই ৩৭ জন শহীদের তালিকা আমরা শুধু এখানে লিস্ট হিসেবে টাঙাইনি। সেইসব শহীদদের মৃত্যুকে আমরা নন্দীগ্রামে আজকের এই সমাবেশ থেকে স্মরণ করছি। আমরা শপথ করছি যে, আমাদের মা-দের চোখের জলের হিসাব না নিয়ে আমরা ছাড়ব না।"
তিনি আরও বলেন, "লড়াইটা শুধু গালমন্দ করে হবে না। লড়াইটা তৃণমূল-বিজেপির ছিঁচকে চোরগুলোকে দুটো গালি দিয়ে হবে না। লড়াইটা আসলে হল পলিসির। লড়াইটা আসলে হল নীতির। আর যতদিন না এই নীতিকে পাল্টাতে পারছি, ততদিন পর্যন্ত ডিওয়াইএফআই-র লড়াই এক চুল সরবে না।"
২১-র বিধানসভা নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে মীনাক্ষীর অভিযোগ, "এই সমাবেশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা ভোটের সময় বামেদের পোলিং এজেন্ট হিসেবে সারাদিন বুথ আগলে রেখেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের পরের দিনই তৃণমূল এবং বিজেপির দুষ্কৃতিরা তাঁদের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। নন্দীগ্রাম কলেজে ডিওয়াইএফআই কর্মীদের পড়াশোনা করতে দেয়নি তৃণমূল।"
বিজেপির প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, "পকেটমার পকেটমারি করার জন্য যাওয়ার সময় একটা বাসে চাপে, ফেরার সময় অন্য বাসে ফেরে। কিন্তু পকেটমারি ছাড়ে না। যারা আজ তৃণমূলের ভেক ছেড়ে বিজেপির ভেক ধরেছে, সেই পকেটমাররাই আমাদের কর্মীদেরকে এখানে গ্র্যাজুয়েশন করতে দেয়নি। কিন্তু তাই বলে আমাদের কর্মীরা লড়াই থেকে পিছুপা হয়নি। তাই তো মইদুল খুন হয়। তাই তো আনিস খুন হয়ে গেছে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বিদ্যুৎ মণ্ডলকে খুন করেছে তৃণমূলীরা।"
বেকারদের চাকরি প্রসঙ্গে মীনাক্ষী বলেন, "মাদ্রাসা শিক্ষকরা চাকরির জন্য কলকাতার রাস্তায় গান্ধীজির পাদদেশে ধর্না দিচ্ছে, অনশন করছেন, অবস্থান করছেন। তৃণমূল সরকার যদি মানুষের অভিভাবক হয় তাহলে আজকে একের পর এক কর্মক্ষেত্রে বেআইনিভাবে, ভুল পদ্ধতিতে, ঘুষ নিয়ে নিয়োগ কেন করছে? আর যারা অবস্থান করছে, বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হচ্ছে। যাতে তাঁরা পরীক্ষায় পাশ করে গেলে পুলিশ ভেরিফিকেশনে তাঁদের চাকরি আটকে যায়? এটা সরকারি পদ্ধতি?"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন