চাকরি কেলেঙ্কারিতে উঠে এল আবার নতুন তথ্য। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের অন্দরে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও এস.এস.সি, গ্রুপ-সি এবং ডি পদে চাকরি দেবার নিশ্চয়তা দিয়ে জেলার কর্মপ্রার্থীদের কাছ থেকে কয়েক লক্ষাধিক টাকা তছরুপের অভিযোগ এসেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা অতনু গুছাইত ও তার ভাই শান্তনু গুছাইতের বিরুদ্ধে।
পরেশ কন্যার ভুয়ো পদ্ধতিতে চাকরি পাওয়ার ঘটনার পর সারা রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায় ও পরেশ অধিকারীকে তলব করেছিল সিবিআই। সেই মামলার তদন্ত চলছে এখনও। এরই মাঝে চাকরি দেবার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ এসেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের স্থানীয়দের দাবী, শুধু টাকা নয়, কারুর কাছে টাকা, কারও বা জমির দলিল, কারও কাছে সোনা জমা রেখে চাকরি দেবার প্রতিশ্রুতি দেয় এই গুছাইত-ভাতৃযুগল।
২০০৩ সালে ‘কোলা-১’ পঞ্চায়েতের সদস্য ও ২০০৮ –এ সেই পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধক্ষ পদে নির্বাচিত হন অতনু গুছাইত। তারপর তিনি পঞ্চায়েত জুড়ে গ্রামীণ মানুষকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে লোক ঠকিয়ে টাকা তোলেন। সবার কাছে টাকা তোলার সময় মন্ত্রী পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায়ের নাম করে বলেন, মন্ত্রী তার ঘনিষ্ট ফলে চাকরির ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা হবে না। অতনু আর তার ভাই শান্তনুর ওপর ভরসা করে কেউ আড়াই লক্ষ, কেউ বা পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছেন চাকরির আশায়। একজন স্থানীয় বলেছেন, তাঁর মেয়ে আর পরিচিত আত্মীয়র চাকরির জন্য তাঁরা ১৮ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন অতনুকে।
সম্প্রতি, পার্থ-পরেশ চাকরি কেলেঙ্কারি সামনে আসায় ‘কোলা-১’ এর বাসিন্দারা বুঝতে পেরেছেন অতনুরা তাঁদের ঠকিয়েছে। কোলায় গুছাইতদের বড়ো বাড়ি আছে, যা লোক ঠকিয়ে তোলা টাকায় তৈরি বলে অভিযোগ তাঁদের। এই ঘটনার পর পুরো গ্রাম অতনু-শান্তনুর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন। অতনু আর তার ভাই ফেরার। তৃণমূলের নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, অতনুর সাথে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন